ঠাসা কর্মসূচি নিয়েই শনিবার শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, ওদিকে বিক্ষোভের আবহ

দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদির প্রথম কলকাতা সফরের সফরসূচি চূড়ান্ত হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীর মূল কর্মসূচি রবিবার কলকাতা বন্দরের ১৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন।

◾প্রধানমন্ত্রী শনিবার দুপুরের পর শহরে আসছেন৷

◾ওইদিনই বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ তিনি যাবেন বিবাদি বাগের ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিংয়ে। সেখানে কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রকের পেন্টিং মিউজিয়ামের উদ্বোধন করবেন।

◾সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন মিলেনিয়াম পার্কে। ওখানে আধ ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠান৷ মিলেনিয়াম পার্ক থেকে হাওড়া ব্রিজের ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

◾’লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’-এর উদ্বোধনের পরই প্রধানমন্ত্রী যাবেন বেলুড় মঠ।

◾বেলুড় মঠ থেকে ফিরবেন রাজভবনে৷ শনিবার রাত তিনি
কাটাবেন রাজভবনে।

◾পরের দিন রবিবার, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত থাকবেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে৷ ওখানেই হবে কলকাতা বন্দরের ১৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন৷

◾নেতাজি ইন্ডোর থেকে হেলিপ্যাডে৷ কপ্টারে দমদম বিমানবন্দর এবং সরাসরি দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজ্য বিজেপি আগে জানিয়েছিলো, CAA চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীক তারা সংবর্ধনা দিতে চায়। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দফতর
এই সফরে দলীয় কোনও কর্মসূচির কথা ‘কনফার্ম’ করেনি।

ওদিকে CAA এবং JNU-র ঘটনার প্রতিবাদে সিপিএম-সহ বাম দলগুলি কলকাতা সফরের সময়ই প্রধানমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানোর কথা ঘোষণা করেছে। বাম ছাত্ররা বিমানবন্দর অবরোধেরও ডাক দিয়েছে। বিমানবন্দর অবরোধ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢালাও প্রচার চলছে। বাম-ছাত্রদের এই কর্মসূচি আদৌ করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ কারন, অতীতে দেখা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় এলে দমদম বিমানবন্দর থেকেই কপ্টারে চড়ে ময়দানের হেলিপ্যাডে নামেন। সেখান থেকে সড়কপথে যান রাজভবন। বিমানবন্দরে ফেরেনও কপ্টারে। তাই প্রশ্ন উঠছে, বিমানবন্দর অবরোধ আন্দোলন তাহলে কেন?

আরও পড়ুন-উপযুক্ত ব্যবস্থা, মমতা বলতেই পুলিশের পদক্ষেপ শুরু

Previous articleউপযুক্ত ব্যবস্থা, মমতা বলতেই পুলিশের পদক্ষেপ শুরু
Next articleকুমারগঞ্জে ধর্ষণ করে খুন, বুদ্ধিজীবীরা কোথায়?