“এবার সূর্য উঠবে কিনা সেটাও আমায় বলতে হবে?”, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল

প্রতিদিনই তিনি খবরে থাকেন। তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আবার পদাধিকার বলে রাজ্য পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। যেদিন থেকেই দ্বায়িত্ব নিয়েছেন সেদিন থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে তিনি। বিধানসভায় যাওয়া হোক কিংবা বিলে স্বাক্ষর অথবা বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত ইস্যু, শিরোনামে ধনকড়।

এবার নতুন বিতর্কে নাম জড়ালো তাঁর। “অর্জুনের তিরে পরমাণু শক্তি ছিল”, এবার রাজ্যপালের মুখে রামায়ণ-মহাভারতের গল্প। স্থান-কাল-পাত্র বিচার না করে এতদিন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের কথায় কথায় বিভিন্ন ইস্যুতে রামায়ণ-মহাভারত কিংবা তাতে যে চরিত্রগুলি আছে তাঁদের প্রসঙ্গ তুলে ধরতে দেখা গিয়েছে। এবার কি তাহলে সেই পথেই হাঁটলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়?

উল্লেখ্য, বিড়লা মিউজিয়ামে বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং মেলার”” উদ্বোধনে গিয়ে রামায়ণ-মহাভারত নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, রামায়ণে উড়ন্তযানের কথা বলা রয়েছে, মহাভারতে অর্জুনের তিরে পরমাণু শক্তি ছিল, এমন সব দাবিই করেছেন এই মুহূর্তে বহুলচর্চিত রাজ্যপাল ধনকড়।

ভারতবর্ষে বিজ্ঞানের চর্চা নতুন নয়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপালকে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলতে শোনা যায়, ‘‘বিংশ শতাব্দী নয়, উড়ন্তযানের কথা বলা হয়েছে অনেক আগে রামায়ণে।” এতেই থামেননি ধনকড়। এরপরই রাজ্যপাল বলেন, ‘‘অর্জুনের তিরে পরমাণু শক্তি ছিল। মহাভারতের সঞ্জয়ের মুখে একথা শোনা গিয়েছে। তাই ভারতকে উপেক্ষা করা যাবে না’’। রাজ্যপালের এমন সব বক্তব্য নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

এদিন রোটারি ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে তাঁর রামায়ণ-মহাভারত সংক্রান্ত বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেন, “যাঁরা বিতর্ক চাইছে তাঁদের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করুন। আমাকে নয়। আপনারাও জানেন রাজ্যের পরিস্থিতি। সবাই ভয়ে আছে।”

এরপরই রাজ্যপাল ফের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আগামীকাল সূর্য উঠবে কিনা সেটাও দেখছি আমাকে বলতে হবে। যারা বিতর্ক চাইছেন তাঁদের কাছে আপনারা প্রশ্ন করেন না কেন?”

Previous articleএসসিও সম্মেলন : ইমরান এলে মোদির সঙ্গে বৈঠকের প্রবল সম্ভাবনা
Next articleমেডিক্যাল কলেজ থেকে ঝাঁপ, মর্মান্তিক পরিণতি তরুণের