আপত্তি থাকলেও CAA মানব না বলার অধিকার কোনও রাজ্যকেই দেয়নি সংবিধান, সাফ জানালেন সিবল, খুরশিদ

আসল সত্যিটা এবার বেরিয়ে গেল আইন ও সংবিধান জানা বিরোধী নেতাদের মুখ থেকেই। সেটা কী? তা হল, কোনও রাজ্যের ক্ষমতাই নেই CAA আটকানোর। গায়ের জোরে তা আটকানো বা বাধাদানের চেষ্টা করাটাই আসলে বেআইনি।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিবাদ যতই উচ্চগ্রামে নিয়ে যান না কেন বিরোধী নেতারা, সংসদে পাশ হওয়া এই আইন আটকানোর সাংবিধানিক ক্ষমতা যে কোনও রাজ্যেরই নেই, তা স্পষ্ট করে দিলেন কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিবল। একই বক্তব্য আরেক কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদেরও। ঘটনাচক্রে দুজনেই সুপ্রিম কোর্টের প্রথম সারির আইনজীবী। কেরালার এক অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে কপিল সিবল বলেন, সংসদে পাশ হয়ে আসা কোনও আইন নিয়ে আপত্তি থাকতেই পারে, তা নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে, বিধানসভায় আপত্তি জানিয়ে বড়জোর প্রস্তাব পাশ হতে পারে, কিন্তু আইন কেউই আটকাতে পারে না। কোনও রাজ্য সরকার বলতেই পারে না এই আইন আমার রাজ্যে প্রয়োগ হবে না। কারণ সংবিধান এই এক্তিয়ার কোনও রাজ্যকেই দেয়নি। এমনকী আইন প্রয়োগে অসহযোগিতা করাটাও কার্যত বেআইনি কাজ। সিবলের কথাকেই সমর্থন করেছেন কংগ্রেসের আরেক দুঁদে আইনজীবী সলমন খুরশিদও। তিনি বলেন, যদি না সুপ্রিম কোর্ট আইন অবৈধ ঘোষণা করে তাহলে সেটি স্ট্যাটিউট হিসাবেই থেকে যাবে। অর্থাৎ আইন কার্যকর করতে সবাই বাধ্য।

এদিকে যে কেরালা রাজ্য সরকার CAA কার্যকর করবে না বলে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্টেও মামলা করেছে সেখানে দাঁড়িয়েই সিবলের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। কেরালার পর কংগ্রেসশাসিত পাঞ্জাবও এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিভিন্ন জনসভায় বারবার বলছেন প্রাণ থাকতে CAA রাজ্যে লাগু করতে দেব না। আর এবার কংগ্রেসের দুঁদে আইনজীবী ও প্রাক্তন আইনমন্ত্রী কপিল সিবলই বলে দিলেন, আইন আটকানোর চেষ্টা করাটাই আদতে অসাংবিধানিক।

অতীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হয়ে মামলা করেছেন সিবল। চিটফান্ড মামলাতেও তৃণমূল সরকারের হয়ে আইনজীবী ছিলেন তিনি। ব্যক্তিগতভাবে মোদি সরকারের বিভিন্ন নীতির কট্টর সমালোচক সিবলের এই মন্তব্যের পর এরাজ্যের CAA বিরোধী দলগুলি এখন কী যুক্তি দেয় সেটাই দেখার।

Previous articleশাবানার ড্রাইভারের বিরুদ্ধে এফআইআর ট্রাক ড্রাইভারের, কারণ কী?
Next articleআইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে বিরাট-রোহিত-বুমরাহদের শাসন