আজ দুই দ্বৈরথ। একটি দ্বৈরথ বেঙ্গালুরুতে। অন্যটি কলকাতার যুবভারতীতে।
বেঙ্গালুরুতে বিরাট-বাহিনী বনাম ফিঞ্চ বাহিনী। যে জিতবে, সিরিজ তাদের। ওয়াংখেড়েতে যদি দুরন্ত অস্ট্রেলিয়া হয়ে থাকে তবে রাজকোটে সেই অস্ট্রেলিয়াকে দুরমুশ করে বিরাট বাহিনী বুঝিয়ে দিয়েছিল তারা কেন বিশ্বসেরা। তবে বিরাটের রাতের ঘুম ছুটেছে রোহিত আর শিখরের চোট। ভারতীয় দলের অন্দরে খবর শেষ মুহূর্তে খেলবেন তাঁরা। চোট বেশি রোহিতের, কাঁধে। তাঁর সুস্থতা নিয়ে মূল সমস্যা আর ধাওয়ানের কোমরে চোট খুব একটা আতঙ্কের নয়। আজও রাহুল উইকেটের পিছনে থাকবেন। পাল্টা রাজকোটের স্মৃতি মুছে অসিরা নিজেদের মেরামত করতে তৈরি। স্মিথ-ফিঞ্চরা ভারতের প্রথম পাঁচজনকে আটকাতে নতুন স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেছেন। বলছেন, ২-১ সিরিজ করবোই।
আর কলকাতার নতুন দশকের প্রথম ডার্বিতে নিঃসন্দেহে এগিয়ে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল গোকুলামের কাছে ৩-১-এ পর্যুদস্ত হওয়ার পর পরিস্কার হয়েছে ডিফেন্সের গলতি। এই গলতা দিয়ে বেইতিয়ারা বা গঞ্জালেস, নওরেমকে কীভাবে আটকানো যাবে, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। বাগানের গোল করছেন সাইরাস, নওরেমরা। আরপিজি-বাগান গাঁটছড়ার পর ক্লাবে ফুরফুরে হাওয়া। আর অন্যদিকে হার, পিছিয়ে পড়া স্পনসরের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে ঘেঁটে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শনিবার স্পেনীয় কোচ ডিফেন্ডারদের নিয়ে পড়ে ছিলেন। প্রথম একাদশে তাই আসতে পারেন মেহতাব সিং। নিজের মুখেই আলেকসান্দ্রা স্বীকার করেছেন, রক্ষণের চেয়ে মোহনবাগানের আক্রমণভাগ অনেক বেশি শক্তিশালী। কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সেটাই আমাদের পরীক্ষা। বাস্তবত, আজ ম্যাচ বাঁচানোই ইস্টবেঙ্গলের মূল পরীক্ষা।