শান্তির খোঁজেই এত বড় সিদ্ধান্ত, খোলসা করলেন হ্যারি

যুবরাজ নন, ডিউক অফ সাসেক্সও নন, রাজপরিবারের সদস্য হয়েও এখন তিনি শুধুই হ্যারি। রাজকীয় ভারমুক্ত হয়ে যিনি পারিবারিক জীবনে শান্তি পেতে চান। রাজ-উপাধি ত্যাগ করার পিছনের কাহিনি উল্লেখ করে লন্ডনের এক সভায় যখন মুখ খুললেন হ্যারি, তখন কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য স্বস্তির পাশাপাশি বিষন্নতাকেও চেপে রাখতে পারেননি প্রিন্স চার্লসের কনিষ্ঠ পুত্র।

হ্যারির কথাতেই পরিষ্কার, পরিস্থিতিই বাধ্য করেছে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রী মেগানকে রাজকীয় দায়িত্ব পালন ও রাজ-অর্থ গ্রহণে অনীহার সিদ্ধান্ত নিতে। রাজ-উপাধি ত্যাগও সেই প্রক্রিয়ার একটা অংশ। আর এসবের পিছনের মিডিয়ার বাড়াবাড়ি ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় অনভিপ্রেত হস্তক্ষেপের চেষ্টা যে অন্যতম কারণ তাও গোপন করেননি হ্যারি। বরং উল্লেখ করেছেন মা ডায়নার কথা, যিনি রাজপরিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রাজ-উপাধি খুইয়েছিলেন এবং 23 বছর আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় যখন প্রাণ হারান তখনও পাপারাৎজিদের দিকেই আঙুল উঠেছিল।

নিজের জীবনে সেই তিক্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না বলেই শুধু রাজকীয় ভারমুক্ত হওয়াই নয়, এবার থেকে বছরের বেশিরভাগ সময়ে ব্রিটেনের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হ্যারি। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আর ব্যক্তিজীবনে স্বাধীনতার স্বাদ পেতে স্ত্রী মেগান ও পুত্র আর্চিকে নিয়ে রাজ-ঐশ্বর্য ও রাজকীয় নিয়মের বাইরে থাকাই সঠিক বলে মনে করছেন ঐতিহ্যমন্ডিত ব্রিটিশ রাজপরিবারের আধুনিক প্রজন্মের সদস্য রাজপুত্র হ্যারি।

Previous articleপোস্তা উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা সরকারের
Next articleঝুলনের সঙ্গে অনুশীলন করে স্বপ্ন পূরণ রিচার