Tuesday, November 11, 2025

JNU-র সার্ভার রুমে ৩ জানুয়ারি ভাঙচুর হয়নি, RTI-এ জানালো বিশ্ববিদ্যালয়

Date:

তাহলে কে মিথ্যা বলেছিলো? কার বা কাদের বক্তব্য অসত্য ?

JNU কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিলো ফি-বৃদ্ধির বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেট্রিক সিস্টেম ও সার্ভার রুমের CCTV ভাঙচুর করেছে।

অথচ এক RTI-এর উত্তরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ই জানালো, ৩ জানুয়ারি সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং তার পরের দিন ‘বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা থাকায়’ ওই সার্ভার কাজ করেনি৷

RTI-এর উত্তরে JNU কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ৫ জানুয়ারি ক্যাম্পাসের নর্থ বা মেন গেটে লাগানো CCTV-র ‘সম্পূর্ণ অবিচ্ছিন্ন’ ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই দিনই মুখোশধারী কিছু ব্যক্তি লোহার রড ও পাথর ভাঙা হাতুড়ি নিয়ে ছাত্র ও শিক্ষকদের উপর হামলা করে। ওই একই RTI-এর উত্তরে উত্তরে জানানো হয়েছে, মোট ১৭টি ফাইবার অপটিক্যাল কেবল 4 জানুয়ারি দুপুর ১টায় নষ্ট করা হয়। বলা হয়েছে, “কোনও বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ২০২০-র ৮ জানুয়ারির মধ্যে ভাঙা বা ধ্বংস করা হয়নি।”

তথ্য জানার অধিকার আইনের ভিত্তিতে একইসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো যে সব সিসিটিভি আছে, তার সার্ভার CIS দফতরে আছে কিনা। উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরার সার্ভার CIS অফিসে নেই, আছে ডেটা সেন্টারে৷

গোলমাল চলাকালীন JNU কর্তৃপক্ষ এক FIR- এ অভিযোগ করেছিল, ৩ জানুয়ারি একদল ছাত্র মুখোশ পরে জোর করে CIS-এ ঢুকে পড়ে এবং বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে সার্ভার অকেজো করে দেয়৷ এর ফলে CCTV নজরদারি, বায়োমেট্রিক হাজিরা ও ইন্টারনেট পরিষেবার মতন কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

JNU উপাচার্য জগদেশ কুমার সংবাদমাধ্যমেও একই কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “বিক্ষোভকারীরা মুখোশ পরে প্রথম এসেছিল ৩ জানুয়ারি। ইউনিভার্সিটির ডেটা সেন্টারে হামলা করেছিল তারা। আমরা যখন ডেটা সেন্টার ফের চালু করি, তার পর, ৪ জানুয়ারি ফের একদল ছাত্র ডেটা সেন্টারে ঢুকে তাকে অকেজো করে দেওয়ার চেষ্টা করে। ৫ তারিখে ফের একই ঘটনা ঘটে।”
JNU এবং বিশেষ একটি রাজনৈতিক দল ও তার ছাত্র শাখা প্রাথমিকভাবে জোর গলায় যে সব দাবি করেছিলো, এখন RTI-এ সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলছে JNU ? তাই প্রশ্ন উঠছে, কে সত্যি বলছে? এভাবে মিথ্যা কেন বলা হয়েছে কাদের বাঁচাতে বলা হয়েছে, তদন্ত হোক৷

আরও পড়ুন-মমতা-র বইয়ের সংখ্যা এই বইমেলায় সেঞ্চুরি করবে, কৌতূহল চরমে, কণাদ দাশগুপ্তের কলম

Related articles

সলমনই হামলার মাস্টারমাইন্ড? দিল্লি বিস্ফোরণে গ্রেফতার ব্যবহৃত গাড়ির মালিক

সাদা রঙের একটি হুন্ডাই আই–২০ গাড়ি ধীরে ধীরে এসে ট্রাফিক সিগন্যালের সামনে থামতেই মুহূর্তের মধ্যে ঘটে বিস্ফোরণ। সোমবার...

দিল্লি বিস্ফোরণের জের: কলকাতার সব থানাকে সতর্ক করেছে লালবাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলছে নাকা চেকিং

দিল্লির লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে দেশের রাজধানীর পাশাপাশি হাই অ্যালার্ট (High...

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর! ঘটনাস্থলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, গ্রেফতার গাড়ির মালিক

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১। বিষ্ফোরণ হওয়া গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের...

দিল্লির ভয়াবহ বিস্ফোরণে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, গভীর শোক প্রকাশ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর

দিল্লির (Delhi) লালকেল্লার মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শেষ...
Exit mobile version