বিজেপিকে তাক করে প্রণব বললেন, গণতন্ত্রের মূল কথা হলো বিরোধী কথা শোনা।

 

ভারতীয় গণতন্ত্রের মূল কথাই হলো বিরোধী বক্তব্য শোনা, তাদের বলতে দেওয়া, আলোচনা করা, বিতর্কের সুযোগ করে দেওয়া ধৈর্য সহকারে। সম্প্রতি দেশ জুড়ে যে প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তার অধিকাংশটাই ছিল শান্তিপূর্ণ। আর এই প্রতিবাদের স্বরই দেশের গণতন্ত্রের শিকড়টাকে আরও গভীরে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, আত্মতৃপ্তি আসলে কর্তৃত্ত্ববাদী ভাবধারার জন্ম দেয়।

বক্তা দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রেপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। আর তাঁর লক্ষ্য যে কেন্দ্রের সরকার, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি যখন নাগপুরে আরএসএস দফতরে গিয়েছিলেন, তখন ধন্য ধন্য করেছিল বিজেপি। এবার কেন্দ্রের সরকারকে গণতন্ত্রের সংজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দিতেই শুরু হয়েছে পাল্টা আক্রমণ। কিন্তু প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, বানিজ্যমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী যখন এই কথাগুলি বলেন, তখন নিশ্চিতভাবে সাধারণের মধ্যে সে নিয়ে প্রতিক্রিয়া হয়

নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশন আয়োজন করেছিল প্রথম সুকুমার সেন স্মৃতি বক্তৃতার আসর। বৃহস্পতিবার তিনি সেখানেই নিজের বক্তব্য পেশ করেন। যথারীতি প্রণব তাঁর প্রাজ্ঞতা দিয়ে কেন্দ্রের নেতিবাচক দিকের কথা তুলে ধরেছেন। যেখানে তিনি বলেন, ভারতীয় গণতন্ত্রকে বারবার পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু আমাদের মাথায় রাখতে হবে গণতন্ত্রের মূল চালিকাশক্তি হলো সহমত। সিএএ-এনআরসি- এনপিআর প্রসঙ্গ উত্থাপন না করেও ঠারে ঠারে সে কথাও বলেছেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ভাষায়, বিগত কয়েক মাস দেখছি, বিশাল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসছেন, প্রতিবাদ করছেন। এর মধ্যে আবার যুব সমাজ তথা পড়ুয়াদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো, যারা বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত মতামত দিচ্ছে। যেটা অবশ্যই চোখে পড়ার মতো।

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleকরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবার ভারতীয় নার্স, চিন্তা বাড়ল নয়া দিল্লির