বিধানসভায় সিএএ নিয়ে একদিনের বিশেষ অধিবেশনে প্রথমে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই নাগরিকত্ব আইন-এর বিরোধিতা করে প্রস্তাব রাখেন। প্রস্তাবে তিনি বিধানসভার সকল সদস্যদের কাছে এই প্রস্তাবকে সমর্থন করার আহ্বান জানান। তার পরই শুরু হয় এই প্রস্তাবকে নিয়ে আলোচনা।

বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই রাজ্য সরকারের প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক অসিত মিত্র। তিনি প্রস্তাবের আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থানের সমলোচনা করে বলেন, “যখন আসামে এনআরসি নিয়ে আন্দোলন চলছিল, তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে এটা আমাদের রাজ্যের বিষয় নয়। এটা আসামের ব্যাপার। তিনি যদি সেইদিন এই মন্তব্য না করতেন, তাহলে এই আন্দোলন আরও জোরদার হত। কিন্তু তার ওই বক্তব্যের ফলে এই আন্দোলন দুর্বল হয়েছে।”
এরপরই ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক ইমরান রামিজ বলেন, শুধু মুখে নয়, এনপিআর নিয়ে সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এটা বাতিল করুন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত দলকে নিয়ে আন্দোলন করার আহ্বান করেন তিনি।

বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকার CAA প্রত্যাখ্যান প্রস্তাব-এর বিরোধিতায় নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে এনআরসি লাগু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তারপরই শুরু হয় হট্টগোল। তার মধ্যেও বিজেপি বিধায়ক জানান, এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে বিরোধিতরা মিথ্যা প্রচার করেছে। তারা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আসামে এনআরসি সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুসারে হয়েছে।

