মমতার মঞ্চে প্রাধান্য নতুনদের: “সিনিয়াররা জায়গা ছেড়ে দিয়েছে জুনিয়ারদের, এটাই তৃণমূলের সৌন্দর্য্য”

বাংলার রাজনীতিতে ঘটে গেল এক নজিরবিহীন ঘটনা। যার সাক্ষী সোমবারের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। মমতার মঞ্চে প্রাধান্য নতুনদের। দলের ছাত্র-যুব নেতার সামনের সারিতে বসে রয়েছেন। শীর্ষ নেতাদের সামনেই বক্তব্য দিচ্ছেন বিভিন্ন জেলার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ছাত্র-যুবরা। আর একেবারে পিছনের সারিতে বসে তা শুনছেন এবং পেন খাতা নিয়ে নোট করছেন তৃণমূল যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সি, ডেরেক ও’ব্রায়ান, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। মঞ্চে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলেন, তখনও একই চিত্র। যা দেখে নেত্রী নিজেও খুশি। তাঁর সামনেও কয়েকজন ছাত্র-যুব নেতা ক্ষুরধার বক্তব্য দিচ্ছেন। এবং সেটা উপভোগ করছেন নেত্রী স্বয়ং। শুনছে গোটা ইন্ডোর স্টেডিয়াম।”

তিনি বলেন, “ধর্মতলায় আমাদের ধর্না চলছে। আমরা অন্যদের মতো তা ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়নি। আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। আমাদের দলের একটা সৌন্দর্য আছে। এখানে আমাদের দলের সিনিয়ার নেতারা জুনিয়ার নেতাদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছে। তারা চলে গেছে পিছনের সারিতে। যারা আগামীদিনে সমাজের কাজ করবে, তাদের জন্য আমরা জায়গা ছেড়ে দিয়েছি। এটাই নিয়ম।”

তিনি ছাত্র-যুবদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, “দলের জন্য দু’বছর তোমরা নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ দাও।। আমি কথা দিলাম, তোমাদের ভবিষ্যৎ আমি গড়ে দেবো। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করো। এখান ওখান ঘোরার দরকার নেই। আমি জীবনে লবি করিনি। এখানে কারোর কোন লবি চলে না। এই দল কাজের মধ্যে দিয়েই তোমাকে চিনে নেবে।”

আরও পড়ুন-“কে পোহা খাবে, কে খাবে না, সেটাও কি সরকার ঠিক করে দেবে?”বিজেপিকে তোপ মমতার

Previous articleঅসমে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল আলফা
Next articleসিএএ প্রত্যাখ্যান প্রস্তাব পার্থর, সরাসরি বিরোধিতা না করলেও রাজ্য সরকারের সমালোচনায় বিরোধীরা