দান করা জমিতে মন্দিরের বদলে হঠাৎ মাদ্রাসার বোর্ড, তপ্ত গোবরডাঙা

কিছু অফিসারের ভুল কাজে এলাকায় অপ্রিয় হতে হচ্ছে সরকার ও শাসকদলকে। ঘটনা উত্তর চব্বিশ পরগণার গোবরডাঙার।

আজ থেকে ২০ বছর আগে উত্তরাধিকারহীনা এক হিন্দু বৃদ্ধা তার সম্পত্তি জমি স্থানীয় মানুষ জনদের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত কে দানপত্র করে দিয়ে যান। বৃদ্ধার ইচ্ছা ছিল ওঁর মৃত্যুর পরে ঐ জমিতে একটি ছোট্ট মন্দির তৈরী হোক এবং একটি কারিগরী স্কুল/গার্লস স্কুল বানাক সরকার। ঐ দানপত্র করা জমির ১০০ মিটারের মধ্যেই ভারত সেবাশ্রমের ও বিবেকানন্দ মঠের অফিস। বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে অনেক দিন। পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল। অনেক দিন থেকে ঐ জমিতে বড়ো বিল্ডিং তৈরী হচ্ছে। এলাকার সকলেই জানেন ওখানে কারিগরী স্কুল তৈরী হচ্ছে। আজব কান্ড ঘটলো গতকাল রাতে। নীলসাদা বিল্ডিংয়ে সরকারি সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা কেন্দ্রের বোর্ড দেখে এলাকার মানুষ ক্রোধে ফুসে উঠলেন। ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।

মানুষ বলছেন, তাঁরা মাদ্রাসার বিরুদ্ধে নন। কিন্তু এই জমিটিতে আচমকা সেটা হতে পারে না। তার জন্য বিকল্প জায়গা আছে।

সূত্রের খবর, একশ্রেণীর অফিসারের কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। ঐ এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষার বোর্ড লাগানো অযৌক্তিক ছিল। বিক্ষোভের পর মুখে যেটা বলতে হচ্ছে, সেটা গোড়াতেই করলে সমস্যা হত না। অফিসারদের জন্য এলাকায় অপ্রিয় হতে হচ্ছে সরকারকে।

Previous articleউহানের ভারতীয়দের ফেরত আনতে বিশেষ বিমান পাঠাবে ভারত
Next articleআপনি কি টালা ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করেন? তাহলে এটা আপনাকে জানতেই হবে