মমতাই এক নম্বরে ! বিজেপির সম্ভাবনা উড়িয়ে সমীক্ষায় একুশের আভাস

নিশ্চিতভাবেই শেল হয়ে বিঁধেছে বঙ্গ-বিজেপি’র বুকে৷

লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে 18 আসন পাওয়ার পর থেকেই উৎফুল্ল বাংলার বিজেপি৷ সেই খুশির আঁচে নিয়ম করে বাতাস দিচ্ছে দিল্লির বিজেপি৷ নবান্ন ‘দখল’ কার্যত হয়েই গিয়েছে বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের একাংশ৷ ওদিকে এটাও ঠিক, একুশের ভোট কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের বৃহত্তম পরীক্ষা৷

বাংলার এই রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে রাজ্যবাসীর মনের খবর জানতে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলো IANS-C VOTER সংস্থা৷ সেই সমীক্ষা বলছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারফরম্যান্সে কোনও ঘাটতিই নেই। মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে যে সমীক্ষা হয়েছে সেখানে এক নম্বরে মমতাই। এ রাজ্যের 62 শতাংশ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে ‘অত্যন্ত খুশি’৷

বিরোধীদের প্রচার এবং ইচ্ছা চুরমার করে এই সমীক্ষা বলছে, রাজ্যের 67.2 শতাংশ মানুষ আগামীদিনেও মমতাকেই মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন৷

এই সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের যে রিপোর্ট কার্ড সামনে এসেছে, তাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থান সবার উপরে। দেশের প্রথম চার সেরা মুখ্যমন্ত্রী চিহ্নিত হয়েছেন অ-বিজেপি রাজ্যের চার মুখ্যমন্ত্রী। আর তার মধ্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর স্থান সবার উপরে। শুধু রাজ্য বিজেপিই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন বাংলার রং গেরুয়া করার লক্ষ্যে৷ কিন্তু এই সমীক্ষার যা রিপোর্ট তাতে বিজেপির আশাহত হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল৷

IANS-C VOTER সংস্থার সাম্প্রতিক এই সমীক্ষা বলছে, যতই বিতর্ক হোক, জনপ্রিয়তায় একটুও চিড় ধরেনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দেশের অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদের পারফরম্যান্সের নিরিখেও সেরা মমতা-ই৷ সমীক্ষায় উঠে এসেছে, 2021-এর নির্বাচনে খুব সহজেই জিতবেন মমতা। সমীক্ষা বলছে, রাজ্যের 62 শতাংশ মানুষ তৃণমূল সুপ্রিমোর কাজে ‘অত্যন্ত খুশি’। দেশের অ-বিজেপি রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের শাসন পরিচালনা, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের থেকে অনেক ভাল বলে দাবি করেছে এই সমীক্ষা।

সমীক্ষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই স্থান পেয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজু জনতা দল প্রধান নবীন পট্টনায়েক। তাঁর কাজে খুশি 61.9 শতাংশ মানুষ। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টি প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। 58.8 শতাংশ মানুষ সমর্থন করেছেন কেজরিকে৷ চতুর্থ স্থান দখল করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। তাঁর পক্ষে রয়েছে 50.3 শতাংশ মানুষের ভোট।

বিপরীতে বিজেপি-শাসিত রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের জনপ্রিয়তা 40 শতাংশের তলায়৷ উত্তর প্রদেশে 39.1 শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাজে ‘অত্যন্ত সন্তুষ্ট’ এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানীর কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মাত্র 34 শতাংশ গুজরাটবাসী৷
এদিকে, প্রথম 4জন অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে 3 জনের মধ্যেই একটা মিলও ধরা পড়েছে৷ এদের সকলেরই ভোট-বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্বে আছেন JDU-র সহ সভাপতি প্রশান্ত কিশোর। বাংলায় লোকসভার পরই প্রশান্ত কিশোরকে নিযুক্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দিল্লির ভোটের মাস চারেক আগে পিকে রাজধানীতে কাজ শুরু করেছেন। ওদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই জগনমোহনের সঙ্গে রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।

Previous articleরাতেই বাড়বে তাপমাত্রা, সরস্বতী পুজোর সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে ফের বৃষ্টি
Next articleপ্রথা মেনে ঘন্টা বাজিয়ে কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী