উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে পণবন্দি ২৩ শিশুকে উদ্ধার করল পুলিশ। সব শিশুকেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও অনেকে আহত। পুলিশের গুলিতে অভিযুক্তর মৃত্যু হয়েছে স্ত্রীরও। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পুলিশের সফল অপারেশনের সাফল্যের জন্য ১০লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।
অভিযুক্ত সুভাষ বাথাম একটি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডে দণ্ডিত হয়। সে জামিনে সম্প্রতি ছাড়া পায়। ছাড়া পেয়েই সে পরিকল্পনা ছক সাজায়। নিজের এক বছরের মেয়ের জন্মদিনে পাড়ার শিশুদের আমন্ত্রণ করে। বিকেল তিনটে নাগাদ তারা সুভাষের বাড়ি যায়। সন্ধ্যে গড়িয়ে গেলে অভিভাবকরা সন্তানদের খোঁজে গেলে সে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। একজন আহত হন। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসপি ও ডিএম ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্ব অপারেশন শুরু করে। সন্ধ্যে নাগাদ ৬মাসের এক শিশুকে সে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। শুরু হয় অপারেশন। তারপর দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর রাত একটা নাগাদ পুলিশ সুভাষের বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। আত্মরক্ষায় পুলিশ গুলি চালায় বলে দাবি। পুলিশ গুলি করে সুভাষকে। ১.৩০নাগাদ তার মৃত্যু হয়। সুভাষের স্ত্রী বেরিয়ে এলে স্থানীয় মানুষ তাকে গণপ্রহার শুরু করে। হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পণবন্দি শিশুদের বয়স ৫-৭ বছর। দীর্ঘ ৯ঘন্টায় অপারেশন শেষ হয়।