শেষ ওভারে চার উইকেট নিল ভারত, সুপারওভারে গড়াল ম্যাচ

শেষ রক্ষা করতে পারল না নিউজিল্যান্ড। ভারতের দুর্দান্ত বোলিংয়ের জেরে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় নিউজিল্যান্ডকে।ফায়সালার জন্য এরপর শুরু হয় সুপারওভার।

দলে দুটি পরিবর্তন। রোহিত শর্মার জায়গায় নবদীপ সাইনি। আর মহম্মদ শামির জায়গায় শার্দুল ঠাকুর। কিন্তু তাতে বিশাল কিছু হেরফের হওয়ার কথা নয়। কিন্তু প্রথমে রাহুল ও পরে মণীশ পান্ডের দৌলতে বিরাট বাহিনী ১৬৫তে পৌঁছলেও তা যে জেতার জন্য যথেষ্ট নয়, তা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল ভারতের ইনিংসের শেষে। কিউইরা এদিন আহত অধিনায়ককে বাইরে রেখেই খেলতে নামে। কিন্তু সিরিজ হারের পর যেন খোলা মনে চাপ ছাড়াই খেলল তারা। আর তাতে ফলও মিলল।

শেষ দুই ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১১ রান। শেষ ছয় বলে দরকার ছিল সাত রান। ২০তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের প্রথম বলে লোপ্পা ক্যাচ তুলে ফিরলেন রস টেলর (১৮ বলে ২৪)। পাঁচে বলে চাই সাত রান। ড্যারিল মিচেল মারলেন চার। চার বলে চাই তিন রান। লোকেশ রাহুলের থ্রোয়ে রান আউট হলেন সেইফার্ট (৩৯ বলে ৫৭)। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি চার ও তিনটি ছয়। তিন বলে চাই তিন। দুই বলে চাই দুই। এ বার তুলে মেরে আউট ড্যারিল মিচেল (তিন বলে ৪)। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। ক্রিজে মিচেল স্যান্টনার। ফের সুপার ওভার হবে নাকি? উত্তেজনায় কাঁপছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। শেষ বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হলেন কুগেলেইজিন। ফলে, দুই দলেরই রান হল সমান-সমান। ভারতের (১৬৫-৮) সঙ্গে একই বিন্দুতে থামল নিউজিল্যান্ড (১৬৫-৭)।জেতার জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১৬৬ রান। সেই লক্ষ্যে ধীরে-সুস্থে শুরু করেছিল কিউয়িরা। পঞ্চম ওভারে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন জশপ্রীত বুমরা। মারতে গিয়ে লোপ্পা ক্যাচ তুলেছিলেন মার্টিন গাপ্টিল (আট বলে ৪)। তার পর কিউয়িদের টানলেন বাঁ-হাতি ওপেনার কলিন মুনরো। ৩৮ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করলেন তিনি।

 

 

 

 

Previous articleকাল কেন্দ্রীয় বাজেট, আর্থিক সমীক্ষায় জিডিপি বৃদ্ধির ইঙ্গিত
Next articleরাষ্ট্রপতি CAA-এর স্বপক্ষে মুখ খোলায় বেনজির প্রতিবাদ তৃণমূল সাংসদদের