Monday, November 24, 2025

KMC vote 109: পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডে অনন্য নজির, এবারও অপ্রতিদ্বন্দ্বী অনন্যা

Date:

Share post:

ঐতিহ্যবাহী কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডটি এবার নির্বাচনেও নজরকাড়া হতে চলেছে। না, ভোটযুদ্ধে বিশেষ কোনও লড়াই নয়। নজরকাড়া একটু অন্য কারণে। তা হলো এলাকার জন প্রতিনিধি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই এলাকার গত দু’বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। তাঁর হ্যাট্রিক এবার সময়ের অপেক্ষা।

সুদর্শনা কিংবা জনপ্রিয় বলে মডেল নয়, এলাকাবাসীর কাছে অনন্যা কাজের মানুষ-কাছের মানুষ হিসেবেই জনপ্রিয়। এই ১০ বছরে ৩৬৫ দিন, ২৪ ঘন্টা সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে মানুষের পাশে থেকে নিজেকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন অনন্যা।

পুর প্রতিনিধি হওয়ার পর অনন্যা ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোল পাল্টে দিয়েছেন। বলে রাখা ভালো, যাদবপুর বিধানসভা অঞ্চলের এই ওয়ার্ডটি ১৯৮০ সালে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। মূলত, ইস্টার্ণ বাইপাস সংলগ্ন নিউ গড়িয়া-পঞ্চসায়র-মুকুন্দপুর-অজয় নগর-শহীদ কলোনীর মতো উদ্বাস্তু অধ্যুষিত এলাকাগুলো নিয়ে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। কলকাতা পুরসভার অন্যান ওয়ার্ডের থেকে এই ওয়ার্ড ছিল অনেকটাই পিছিয়ে। বাম জমানাতেও ওয়ার্ড ছিল জলা জমিতে জলমগ্ন। কাঁচারাস্তা। এমনকী, সব জায়গায় বিদ্যুৎ পর্যন্ত ছিল না।

কিন্তু গত এক দশকে রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নতি এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য এখন এই ওয়ার্ডেই নামী নামী বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের রমরমা। এজটা সময় বসবাসের “অযোগ্য” এই এলাকার ফাঁকা জমিতে গড়ে উঠেছে একের পর এক বহুতল আবাসন।

কিন্ত এত দ্রুত এটা কীভাবে সম্ভব হল? এলাকার পুর প্রতিনিধি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, কাজ করার মানসিকতা এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছাশক্তি থাকলেই কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “মানুষ যখনই ডেকেছে, তখনই সেখানে ছুটে গিয়েছি। তাঁদের সমস্যার কথা শুনেছি। চেষ্টা করেছি এলাকার উন্নতি করার। দীর্ঘদিন ধরে এই ওয়ার্ড বঞ্চিত ছিল। পিছিয়ে ছিল। অথচ, এটা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-এর বিধানসভা অঞ্চল ছিল। কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এই এলাকারই বাসিন্দা। তাঁরা নিজেদের সময়ে এই অঞ্চলের দিকে ফিরেও তাকাননি। বর্তমানেও এখানে বামেদের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী রয়েছেন। কিন্তু ওয়ার্ডের এই এলাকার উন্নতির জন্য তাঁর কোনও হেলদোল নেই।”

তাহলে এতো উন্নতি কীভাবে হচ্ছে? অনন্যার উত্তর, “মনীশ গুপ্ত যখন বিধায়ক ছিলেন, তখন অনেক সাহায্য করেছেন। এখন উনি রাজ্যসভার সাংসদ। আমি যখনই সমস্যা নিয়ে গিয়েছি কোনওদিন ফেরাননি। ওনার তহবিল থেকে ওয়ার্ডের উন্নতিতে তিনি অনুদান দিয়েছেন। কলকাতা পুরসভাও এখানে অনেক কাজ করছে। যা মানুষ চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছে। রাস্তা-ঘাটের কোনও সমস্যা নেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। এলাকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি আছে।”

১০৯ ওয়ার্ডের নাগরিকরা কী বলছেন তাঁদের প্রতিনিধি নিয়ে? তাঁদের কথায়, “অন্ধকার থেকে আলো, অনন্যাই ভালো”। “যখন ডাকি তখন পাই, অনন্যাদি-কে আবার চাই।”
সারা বছর এলাকায় এলাকায় মেলা, পুজো, সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান করে পিছিয়ে পড়া মানুষদের মূল স্রোতে নিয়ে এসেছেন অনন্যা। ক্লাবগুলির সঙ্গেও নিবিড় সম্পর্ক তাঁর। এক কথায়, পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডে অনন্য নজির গড়ে এবারও অপ্রতিদ্বন্দ্বী অনন্যা।

spot_img

Related articles

১৭ দিনে কাজ শেষ করলেন রাজ্যের দুই BLO: জানালেন হাজারো সমস্যার কথা

নির্বাচন কমিশন কতটা কাঁটায় ভরা পথে রাজ্যের বুথ লেভেল আধিকারিকদের এসআইআর প্রক্রিয়া করতে বাধ্য করছে, তার প্রমাণ রাখলেন...

পিসেমশাই-বৌমা সম্পর্কে স্বামীকে মারতে সুপারি কিলার! বরাহনগর গুলিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

অবৈধ সম্পর্কের জেরেই বরাহনগরে গুলি চলেছিল, তদন্তে উঠে এলো এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্বামীকে খুন করার জন্য সুপারি কিলার...

দূষণে দমবন্ধ রাজধানীর! বিদেশ সফর নিয়ে মোদিকে কটাক্ষ তৃণমূলের

রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ দূষণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেল। সমাজমাধ্যমে তাঁর কটাক্ষ,...

৪৪ বিধানসভার ভোটার মায়ারানী? SIR স্ক্যানের পর হইচই পাণ্ডবেশ্বরে

বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ার মাঝেই পাণ্ডবেশ্বরে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এনুমারেশন ফর্মের কিউআর কোড স্ক্যান করতেই দেখা...