দিল্লি ভোটে সব হারানোর ভয়ে শাহিনবাগের সঙ্গে এবার বসতে রাজি মোদি

ভোট বড় বালাই৷ দিল্লি-ভোটের আগেই শাহিন বাগ নিয়ে সুর নামালো বিজেপি৷

গত দুমাস ধরে শাহিন বাগে বসে থাকা প্রতিবাদীদের সম্পর্কে যা নয় তাই বলেছেন অমিত শাহ থেকে স্থানীয় নেতা পর্যন্ত ৷ দিল্লি ভোটে এই শাহিন বাগ এতটাই ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে, তা সাধারন দিল্লিবাসী বুঝলেও, বিজেপির মেগাওয়েটরা ধরতে পারলেন এখন৷ ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভার সব আসনই হাতছাড়া হতে চলেছে এই শাহিনবাগ নিয়ে বিজেপির মনোভাবের কারনে৷ সে কারনেই বেশ কয়েক পা পিছিয়ে শাহিন বাগ প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছাপ্রকাশ করল নরেন্দ্র মোদির সরকার।
শনিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ টুইট করে জানিয়েছেন এই কথা। তিনি টুইটে লিখেছেন, “নরেন্দ্র মোদির সরকার শাহিন বাগের প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলতে চায়, CAA নিয়ে তাঁদের যাবতীয় সংশয় দূর করতে চায়।”

প্রতিবাদীরা প্রথম দিন থেকেই দাবি করে আসছেন, প্রধানমন্ত্রী শাহিনবাগে এসে তাঁদের সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’ করুন। কিন্তু এতদিন এই আবেদনের উত্তরে বিজেপি কখনও তাদের ‘গুলির মারা’র হুমকি দিয়েছে, কখনও ক্ষমতায় এলেই ‘শাহিনবাগ খালি করে দেওয়া’র হুঁশিয়ারি দিয়েছে৷ শাহিন বাগকে ‘পাকিস্তান’ বলে মেরুকরণের চেষ্টাও কম করেনি বিজেপি৷

গেরুয়া শিবিরের চৈতন্য হলো দু’মাস পর৷ বিজেপি বুঝেছে শাহিন বাগের প্রতিবাদের আঁচ বেশি লাগছে তাদের গায়েই৷ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন ৮ তারিখ৷ ভোটে যাতে শাহিন বাগের প্রভাব না পড়ে, তার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিলেন গেরুয়া নেতারা। সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে৷ তাই কার্যত মাথা নত করেই শাহিন বাগ প্রতিবাদীদের সঙ্গে বসতে চাইছেন মোদি৷

শাহিন বাগ কী করবে তা এখনও ঘোষনা করেনি৷

Previous articleবাজেটে জাতীয় শিক্ষানীতি: কী বলছে ছাত্র সংগঠনগুলি?
Next articleসরকারি চাকরি পেতে পরীক্ষায় বদল