KMC vote 90: তৃণমূলে তাঁর থেকেও জনপ্রিয় প্রার্থী চৈতালি, দাবি বৈশ্বানরের

কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে এবার বিশেষভাবে নজরে থাকবে ৯০ নম্বর ওয়ার্ড। মূলত, দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট ও গোলপার্ক সংলগ্ন অঞ্চল এই ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। এখানে আভিজাত্যপূর্ণ এলাকার পাশাপাশি রয়েছে বেশকিছু বস্তি অঞ্চলও। আর এই এলাকাতেই দীর্ঘদিনের জন প্রতিনিধি তৃণমূলের আইনজীবী প্রার্থী তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রথম সভাপতি বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। জনসংযোগ এবং কাজের নিরিখে বেশ জনপ্রিয় তিনি। একটা সময়ে মেয়র পারিষদও ছিলেন। এমনকি, বাম জমানাতেও অপ্রতিরোধ্য ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার আইনের গেরোয় পরে আর ভোটে লড়া হচ্ছে না বৈশ্বানরের। কারণ, ৯০ নম্বর ওয়ার্ড এবার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।

যদিও বিষয়টি নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন প্রাক্তন এই ছাত্রনেতা। তাঁর কথায়, “ভোটে দাঁড়ানোটা বড় কথা নয়। আমরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক। দলের সিদ্ধান্তই আমাদের কাছে সব। দল যেভাবে বলবে, আমরা সেভাবে কাজ করবো। সংরক্ষণ না হলেও যদি দল টিকিট না দিতো দাঁড়াতাম না। দলেরই কাজ করতাম।”

তিনি জনপ্রিয় কাউন্সিলর। কিন্তু এবার তিনি না থাকায় কি ভোটযুদ্ধে একটু ব্যাকফুটে চলে গেল দল? বৈশ্বানরের সোজাসাপটা উত্তর, “দল আরও ফ্রন্টফুটে খেলবে। কারণ, এবার ৯০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী চৈতালি চট্টোপাধ্যায়। যিনি ২০১০ সালে সংরক্ষণের সময় কউন্সিলর হয়েছিলেন। এবং জেতার পর ৫ বছর দারুন কাজ কররছিলেন। ফলে জনপ্রিয়তার নিরিখে আমার থেকেও চৈতালি অনেক এগিয়ে।”

এবার ৯০ তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ কে? বৈশ্বানরের কথায়, “মানুষ উন্নয়নের নিরিখে আগের চেয়েও বেশি আসন দেবে তৃণমূলকে। তাই সেই অর্থে শুধু তাঁর ৯০ নম্বর ওয়ার্ড কেন, কলকাতা পুরসভার সব ওয়ার্ডেই মানুষ ঘাড়ফুলের পক্ষেই রায় দেবে। প্রথম হবে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়-তৃতীয় কে হলো সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি না।”

পুরভোটে তৃণমূল গুন্ডাগিরি করলে কোনওরকম ছুৎমার্ক না রেখেই বিজেপিকে সঙ্গে নিতে চাইছে সিপিএম। এই প্রসঙ্গে বৈশ্বানর বামেদের কটাক্ষ করে বলেন, “দীর্ঘ ৩৪ বছরে সিপিএম বাংলার বুকে কেমন গুন্ডাগিরি করেছে সবাই জানে। ওদের মুখে এসব কথা মানায় না। আলাদা করে আর সঙ্গে নেওয়ার কী আছে। ওরাই তো এখন বিজেপি। লাল জ্যাকেট ছেড়ে গেরুয়া পড়েছে, এটাই পার্থক্য। মানুষ ওদের কাউকেই বিশ্বাস করে না।”

সব মিলিয়ে এবার আরও বেশি ব্যবধানে ৯০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়লাভ করবে বলেই দাবি বৈশ্বানরের। চৈতালি চট্টোপাধ্যায় তাঁর থেকে বেশি মার্জিনে জিতবেন বলেই জানালেন তিনি। প্রসঙ্গত, ৯০ নম্বর ওয়ার্ডে এবার মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় এখানে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন এই ওয়ার্ডেরই প্রাক্তন কউন্সিলর চৈতালিদেবী। যিনি বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের সহধর্মিণী।

Previous articleমোদির তোপ : সংবিধান রক্ষার নামে বেআইনি আন্দোলন
Next articleদমদম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জুড়েও সিএএ এবং এনআরসি প্রসঙ্গ