Thursday, August 28, 2025

সকলের অলক্ষ্যে বেরিয়ে গেলেন উপাচার্য! প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের ভূমিকার সমালোচনা শিক্ষামন্ত্রীর

Date:

হিন্দু হস্টেল-সহ আরও বেশকিছু ইস্যুতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের আন্দোলনের কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আন্দোলন করে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘেরাও করে রাখে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সোমবার দুপুর থেকে উপাচার্যের ঘরের সামনে অবস্থান–বিক্ষোভ শুরু হয়। যা দিন গড়িয়ে রাত পর্যন্ত চলে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

তাঁর কথায়, “সারাক্ষণ ওরা আন্দোলন করবে আর আমি তা সমর্থন করে যাবো, এটা চলতে পারে না। উপাচার্যকে ঘেরাও না করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিত। কর্তৃপক্ষের ওপর এভাবে চাপ সৃষ্টি করা ঠিক নয়। প্রয়োজনে উচ্চশিক্ষা সচিবকে বলব বিষয়টি দেখতে। এটা চলতে দেওয়া যায় না।

যদিও নিজেদের অবস্থানে অনড় পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি মানা না পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে জানানো হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে। প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রনেতা দেবনীল পাল জানালেন, “আমরা ইস্যুগুলো নিয়ে বিকাশ ভবনে সপ্তাহখানেক আগে চিঠি দিয়েছিলাম আলোচনার জন্য। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সদুত্তর পায়নি। এদিকে উপাচার্য কোনভাবেই আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি নন। ফলে বাধ্য হয়েই আমরা ঘেরাও কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। ওনাকে হেনস্থা করা কোনোওভাবেই আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদেরও পড়াশোনা আছে। আমাদের বাড়ি ঘর আছে। এই শীতে রাত জেগে বিক্ষোভ আমরাও করতে চাই না। কিন্তু উনি আলোচনায় বসুন। বা ওনার প্রতিনিধি হয়ে কেউ অন্তত আলোচনায় বসুন।”

এদিকে ভোর হতেই সকলের চোখ এড়িয়ে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বেরিয়ে গেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্সির ছাত্রনেতা আন্দোলন, “আমরা সকলেই ওনার ঘরের চারপাশে অবস্থান করছিলাম। কিন্তু ভোরের দিকে সকলের চোখ জুড়িয়ে আসে। ঠিক সেই সময়ই এক ফাঁকে সকলের চোখে এড়িয়ে বেরিয়ে যান উপাচার্য। তবে উনি এলে আবার আমরা বিক্ষোভ শুরু করব, যদি উনি আলোচনায় বসেন। আমরা চাই না উপাচার্যের কাজের কোনও ক্ষতি হোক।”

প্রসঙ্গত, হিন্দু হস্টেলের ৩, ৪, ৫ নম্বর ওয়ার্ড ফেরত, হস্টেলের জন্য আলাদা ওয়েলফেয়ার কমিটি গঠন ইত্যাদি ছাড়াও সরস্বতী পুজোর দিন ক্যাম্পাসে কেন ছাত্রদের ঢুকতে দেওয়া হলেও ছাত্রীদের দেওয়া হয়নি এবং হস্টেলের ৮ জন কর্মীর বদলি বাতিলের দাবিতে এই ঘেরাও কর্মসূচি। আন্দোলনকারীদের পক্ষে দেবব্রত মণ্ডল বলেন, “সরস্বতী পুজোর দিন ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই বৈষ্যমমূলক আচরণ কেন?‌ উপাচার্যকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। হিন্দু হস্টেলের দীর্ঘদিনের ৮ জন কর্মীর অন্যত্র বদলির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।”

এদিকে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তাঁরা নয়, যে বেসরকারি সংস্থার অধীনে ওরা কাজ করতেন, বদলি তাঁদের সিদ্ধান্ত। আর ছুটির দিন ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এটা সকলের জন্য প্রযোজ্য।

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version