দিল্লি-ভোটের মুখে শেষ কার্ড,অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্টের ঘোষণা মোদির

দিল্লি-ভোটের মুখে এবার শেষ কার্ড খেললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷ বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাম মন্দির নির্মাণের জন্যে একটি ট্রাস্টের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ ওই ট্রাস্টের নাম হল “রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র”à§·

প্রধানমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেছেন, “রাম মন্দির নির্মাণের কাজ সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশেষ এই ট্রাস্ট”à§·
সুপ্রিম কোর্ট আগেই আদেশ দিয়েছিলো, অযোধ্যাতে রাম মন্দির নির্মাণ তদারকি করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি বা ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই নির্দেশ অনুযায়ীই পদক্ষেপ করলেন প্রধানমন্ত্রী৷ তবে রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, দিল্লি ভোটের মুখে এই ঘোষনায়৷ প্রশ্ন উঠেছে, এই ঘোষনা নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করেছে কি’না?

বুধবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার সরকার ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’ নামে একটি ট্রাস্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এই ট্রাস্ট নতুন করে রাম মন্দির নির্মাণ ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে”। তিনি বলেন, “আসুন আমরা সকলেই অযোধ্যায় এই রাম মন্দির নির্মাণকে সমর্থন জানাই”।

প্রধানমন্ত্রী সংসদে যখন এই আহ্বান জানাচ্ছেন, তখন সরকার পক্ষের সাংসদরা “জয় শ্রী রাম” ধ্বনি দিয়ে ঘোষনাকে স্বাগত জানান৷ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “গত নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”।

সুপ্রিম কোর্টের ওই আদেশে জানানো হয় অযোধ্যায় বিতর্কিত জমিটি রাম লালার নামেই বরাদ্দ হবে এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে একটি মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প à§« একর জমি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। “ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকার অযোধ্যাতে নতুন করে à§« একর জমি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে”, বলেও সংসদে জানান প্রধানমন্ত্রী।

দিল্লি নির্বাচনের আগে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের তরফে
রাম মন্দির সংক্রান্ত এই বড় ঘোষণা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে কিনা তা নিয়ে এবার নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।