শাহিনবাগই দিল্লি ভোটে বিজেপির শেষ অস্ত্র!

নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে শাহিনবাগের ধরনাই শেষ বেলায় দিল্লি ভোটে বিজেপির একমাত্র হাতিয়ার হতে চলেছে। বিধানসভা ভোটের আগে করা সব সমীক্ষাতেই স্পষ্ট যে, আমজনতার কোর ইস্যু যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জল, বিদ্যুৎ, পরিবহন, পরিবেশ সহ সার্বিক উন্নয়নের নিরিখে আপের পারফরম্যান্সে খুশি দিল্লিবাসী। স্থানীয় ইস্যুতে আপকে হারানো কঠিন বুঝেছে বিজেপি। এর উপর মুখ্যমন্ত্রী পদে কেজরিওয়ালের মত জনপ্রিয় মুখের বদলে কে, তারও হদিশ দিতে ব্যর্থ গেরুয়া শিবির। ফলে তাদের হাতে শেষ অস্ত্র বা ইস্যু বলতে একটাই, শাহিনবাগের বিক্ষোভ।

দিল্লির রাস্তা আটকে প্রায় 55 দিন ধরে চলা বিক্ষোভের উদ্দেশ্য ও অংশগ্রহণকারীদের একাংশের কাজকর্ম সম্পর্কে প্রশ্ন তুলছেন বিজেপির শীর্ষ নেতা থেকে স্থানীয় নেতারা। স্বয়ং মোদি থেকে অমিত শাহ সকলেই শাহিনবাগের আন্দোলনের পিছনে দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টই বলেছেন, সামনে সংবিধান বা জাতীয় পতাকা সাজিয়ে রেখে পিছনের চক্রান্ত আড়াল করা যাবে না। শাহিনবাগ ধরনার অন্যতম উদ্যোক্তা সারজিল ইমাম এদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার ডাক দিয়ে দিল্লি পুলিসের হাতে গ্রেফতার। তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা চলছে। ফলে শাহিনবাগকে দেশবিরোধীদের আখড়া ও অরজকতা তৈরির চক্রান্ত বলে প্রচার জোরদার করছে বিজেপি। এর পাশাপাশি শাহিনবাগে গুলি চালনার ঘটনায় যখন বিজেপির দিকে আঙুল উঠছিল তখন হঠাৎই চাঞ্চল্যকর মোড়। দিল্লি পুলিস ছবি, তথ্য দিয়ে দাবি করেছে, গুলিকাণ্ডে ধৃত যুবক কপিল আদতে আপের কর্মী। ফলে বিজেপি এখন আপকেও গুলির ঘটনায় জড়িয়ে নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত শাহিনবাগ বিজেপিকে প্রত্যাশিত কোনও ফল দিল কিনা তা বোঝা যাবে 11 ফেব্রুয়ারিই।

Previous articleবাড়ছে তাপমাত্রা, চলবে বৃষ্টি
Next articleমহাযুদ্ধে মোদি, প্রচারে একসঙ্গে ২৪০ সাংসদ! কণাদ দাশগুপ্তের কলম