ট্যাংরা থেকে পালিয়ে গিয়েও রেহাই মিলল না। মল্লিকবাজারে আটক করা হল অভিযুক্ত এম্বুলেন্স চালককে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কেন ঘটনার কথা জানতে পারল না পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ। দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বুধবার শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আদালত সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করবেন তদন্তকারীরা। আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তদন্তকারীরা।
ট্যাংরা কাণ্ডে জোর করে আটকানোর ধারা যুক্ত হলেও অভিযুক্ত চালককে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব এই ঘটনায় সামনে এসেছে। কিন্তু অভিযোগকারী মহিলার পালটা অভিযোগ, ঘুষের বিনিময়ে অপহরণের অভিযোগ চাপা দিতে গিয়েই পুলিশ তা অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।মহিলা বারবারই অভিযোগ করেছেন যে তাঁকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল অ্যাম্বুল্যান্সের চালক। কিন্তু পুলিশ তাকে আড়াল করে ‘হিট অ্যান্ড রান’-এর তত্ব সামনে আনছে।
ট্যাংরা কাণ্ডে ফের প্রশ্নের মুখে রাজপথের নিরাপত্তা। ট্যাংরার পর মল্লিকবাজারে দুর্ঘটনা ঘটায় অ্যাম্বুলেন্সটি। ওই গাড়ির চালককে আটক করে পুলিশ। যদিও 10 সেকেন্ডে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ মানতে চাইছে না পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ। তারা ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানিয়েছে।
