বাজেট ২০২০- কেন্দ্রীয় সরকারের ৩ মার্ডার: তীব্র আক্রমণ অভিষেকের

লোকসভার বাজেট অধিবেশনে বলতে উঠে মোদি সরকারে ঐতিহাসিক বাজটের ভুল-ত্রুটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্যের শুরুতেই দেশবাসীকে দেশের শান্তি ও একতা রক্ষায় লড়াই করার জন্য অভিবাদন জানান তিনি। নেতাজি থেকে রবীন্দ্রনাথ, বিকেকানন্দ থেকে বিদ্যাসাগরের কথা স্মরণ করেন অভিষেক। এরপরেই তিনি বলতে শুরু করেন বাজেট ২০২০ প্রসঙ্গে। এই বাজেটকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছে মোদি সরকার। সেই তকমা টেনেই তাকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, সত্যিই এটি ঐতিহাসিক। ২ঘণ্টা ৪০ মিনিটের বাজেটে একবারও দেশের অর্থনৈতিক অবনতি, বেকারত্ব, কৃষিক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার কথা নেই। নেই তফশিলি জাতি, উপজাতির কথা। এই বাজেটেকে একটি ‘বিগ জিরো’ বলে উল্লেখ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন এই বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কী দিয়েছে সরকার? তাঁদের সমস্যা আদৌ কেন্দ্রীয় সরকারের চোখে পড়েছে তো? দেশের বেকারত্ব নিয়ে কোনও কথা নেই। সেই কৃষি উৎপাদনে ঘটতির কথাও।

দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিন অর্থনীতিবিদের উল্লেখ করেন অভিষেক। প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রমণিয়ামের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অচলাবস্থার কথা বলেছেন সুব্রমণিয়াম। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও উল্লেখ করেন অভিষেক। বলেন, অভিজিৎ বলেছেন, দেশ খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এরপরেই রসিকতা করে তিনি বলেন, এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের মন্তব্যের কথাও উল্লেখ করেন তৃণমূল সাংসদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাজেট ২০২০ তিনটি পিলারের উপরে দাঁড়িয়ে। এটা তিনটি মার্ডার উপর দাঁড়িয়ে- বিমুদ্রিকরণ, জিএসটি ও বাজেট ২০২০।

এ প্রসঙ্গে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখ করে বলেন, তিনিই ডিমনিটাইজেশনের পরেই বলেছিলেন এর ফল মারাত্মক। প্রত্যাহারে দাবিও করেন মমতা। কিন্তু বিজেপি সরকার তাতে কান দেয়নি। জিএসটি-তে তৃমমূলের সায় আছে উল্লেখ করেও অভিষেক বলেন, এটা প্রয়োগের সঠিক সময় এটা নয়। আর শেষ মার্ডার হল বাজেট ২০২০। এটাই মোদি সরকারের সবচেয়ে নৃশংস, হিংস্র পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-বিজেপি দিল্লিতে ৪৫ আসনে জিতবে: অমিত শাহ

Previous articleসেলেব না পোড়খাওয়া নেতা! কলকাতায় কাদের প্রার্থী করবে বিজেপি?
Next articleট্যাংরাকাণ্ডে ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হবে