কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ না করার অভিযোগে কাঠগড়ায় নোবেলজয়ী ইউনুস

কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ না করার অভিযোগে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মহম্মদ ইউনুসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের বর্তমান কর্মীরা।বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোনের এক তৃতীয়াংশ শেয়ারের মালিক এই গ্রামীণ টেলিকম৷ এই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মীর অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটির লাভের অংশ কর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা করা হয়নি৷ প্রতিষ্ঠানটির দশজন বর্তমান ও সাবেক কর্মী গ্রামীণ টেলিকম এবং মহম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন৷ মহম্মদ ইউনুস গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দারিদ্র ঘোচনোতে অবদানের জন্য ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান৷
মামলাকারীদের আইনজীবী জাফরুল হাসান শরিফ জানিয়েছেন, গ্রামীণ টেলিকম গত দশকে ২৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা করলেও কর্মীদের তার কোনেও শেয়ার দেয়নি৷ ‘‘শ্রম আইন অনুযায়ী, গ্রামীণ ফোনের অবশ্যই নেট মুনাফার পাঁচ শতাংশ প্রতিষ্ঠানটির কর্মী এবং সরকারকে দিতে হবে’’, বলেন তিনি৷
মামলাকারীদের আইনজীবী আরেও বলেন, ‘‘২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল সময়কালে বকেয়া দাঁড়ায় ১৩ দশমিক চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার আশি শতাংশ সমানভাবে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান এবং সাবেক কর্মীদের দিতে হবে৷’’
গ্রামীণ টেলিকমের অন্যতম পরিচালক আশরাফুল হাসান জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান মামলা লড়বে৷ গ্রামীণ টেলিকম যা মুনাফা করেছিল তা পুনরায় প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হয়েছে৷ তাই মামলাকারীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন৷
তবে এই বিষয়ে মহম্মদ ইউনুসের কোনও বন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষুদ্রঋণ দিতে ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করেন তিনি৷ তবে ২০১১ সালে ব্যাঙ্কটির পরিচালকমণ্ডলী থেকে ইউনুসকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷
২০০৭ সালে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ইউনুস, যা নিয়ে হাসিনার সঙ্গে তাঁর বিরোধ সৃষ্টি হয়৷ ইউনুস অবশ্য পরবর্তীতে রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন৷
গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে তাঁকে অপসারণের বিরুদ্ধে অবশ্য সর্বোচ্চ আদালতেও গিয়েছিলেন ইউনুস, কিন্তু আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেননি৷

 
Previous articleঅসমের বিজয় উৎসবে কী বললেন মোদি?
Next articleবিজেপির মিছিল থেকে আটক কৈলাস-মুকুল, পুলিশ-সিআরপিএফ ধস্তাধস্তি!