রাহুলের লাঠিপেটা-মন্তব্যের জেরে লোকসভায় কং- বিজেপি তুলকালাম

প্রায় হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম! শুক্রবার কংগ্রেস-বিজেপি সাংসদদের মধ্যে তুমুল বিতণ্ডা ও মারমুখী মেজাজ দেখে লোকসভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার ওম বিড়লা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লাঠিপেটা করার কথা বলে জনসভায় যে বক্তব্য রেখেছিলেন রাহুল গান্ধী, তার নিন্দায় বিজেপি মন্ত্রী এদিন সংসদে মুখ খুলতেই শাসক-বিরোধী তুলকালাম বেধে যায়।

লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এদিন মেডিক্যাল কলেজ সংক্রান্ত এক প্রশ্ন করেন রাহুল। এর উত্তর দিতে উঠে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেন, উত্তর পরে দেব। আগে রাহুল গান্ধীর অসংবেদনশীল মন্তব্যের ধিক্কার জানাই। দেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে লাঠিপেটা করার কথা কীভাবে বলতে পারেন এক সাংসদ? ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রসঙ্গত, এক জনসভায় রাহুল বলেন, ছ’মাস বাদে দেশের যুবকরা মোদিকে ডান্ডা মেরে বুঝিয়ে দেবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করলে কী হয়! এর প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এসব গালি শোনা তাঁর অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। এরপর ছমাস আরও বেশিবার সূর্যনমস্কার করে নিজের পিঠকে ডান্ডাপ্রুফ করে নেবেন।

মোদি নিজে সরস কটাক্ষে রাহুলকে জবাব দিলেও তেতে ছিলেন বিজেপি সাংসদরা। আবার রাহুলকে আক্রমণ করায় উত্তেজিত হয়ে ওঠে কংগ্রেসও। তামিলনাডুর কংগ্রেস সাংসদ মানিকা টেগোর মন্ত্রী হর্ষবর্ধনের দিকে মারমুখী হয়ে ধেয়ে এলে তাঁর হাত টেনে ধরেন বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিং। শুরু হয় দুপক্ষের তুমুল গোলমাল। পরে রাহুল গান্ধী বলেন, আসল বিষয় থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই সভায় গন্ডগোলের পরিকল্পনা।

 

Previous article‘বেহুলা’: নাম মাহাত্ম্যে অন্যরকম শিল্প উৎসব বেহালায়
Next articleরাজ্যপালের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্য বিজেপি’র একাংশ