বইমেলায় বিজেপি বনাম নকশাল অশান্তি, নামতে হল পুলিশকে

আশঙ্কা ছিল। প্ররোচনা ছিল। পুলিশের পক্ষপাতদুষ্ট নীরবতা ছিল। শেষমেষ শনিবার একপ্রস্থ অশান্তি হয়েই গেল বইমেলায়। বিজেপির কাগজ জনবার্তার স্টলের সামনে থেকে বিক্ষোভরত নকশালপন্থীদের টেনে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।

বইমেলায় এন আর সি ও সি এ এ বিরোধী কর্মসূচি কদিন ধরেই চলছিল। মানববন্ধন হয়েছে। মিছিল হয়েছে। পুলিশ বাধা দেয় নি। কিন্তু বইপ্রেমী মানুষ বিরক্ত হয়েছেন। নাগরিকত্ব বিতর্ক নিয়ে যার যে মতামত থাকুক, বইমেলার মধ্যে এর কর্মসূচি ঠিক নয়। এর জন্য বাইরের রাজপথ আছে। পুলিশ কিন্তু বাধা দেয় নি। ফলে উল্টোমতের অনেকেই ফুঁসছিলেন। প্রশ্ন ছিল, যদি কেউ সিএএ সমর্থনে মিছিল করতে চাইত, তখন পুলিশ অনুমতি দিত কি ?

শনিবার বিকেলে হঠাৎ দেখা যায় বিজেপির কাগজ জনবার্তার স্টলের সামনে তুমুল অশান্তি। নকশালপন্থীরা একজোট। স্টলে তখন রাহুল সিনহা। বিজেপি সমর্থকরাও বেরিয়ে এসেছেন। মাঝখানে পুলিশবাহিনী। প্রবল হল্লা। বইপ্রেমীরা সমস্যায়।

বিজেপির অভিযোগ, তাদের স্টলে হামলা করতে এসেছে নকশালরা। শ্লোগান দিচ্ছে। এন আর সি বিরোধিতার নামে আক্রমণ করছে।
অন্যদিকে নকশালদের বক্তব্য, বিজেপিকর্মীরা তাদের পোস্টার ছিঁড়ে দিয়েছে। বিজেপির যুক্তি, আমাদের স্টলের সামনে পোস্টার দেখাতে এসেছিল কেন? শেষপর্যন্ত পুলিশ নামে। নকশালপন্থী কয়েকজনকে টেনে নিয়ে যায়। বিজেপি সমর্থকরা জয় শ্রীরাম শ্লোগান দেন।

কথা উঠেছে, পুলিশ যদি প্রথম দিন থেকে বইমেলার ভেতরটা এসব রাজনীতির বাইরে রাখতে পারত, ভালো হত।
আরও কথা উঠেছে, সব দলের মুখপত্রেরই স্টল আছে। এটাই স্বাভাবিক। সেখানে বইমেলার মধ্যে রাজনীতি করে একটি স্টলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যাওয়া আদৌ সমর্থনযোগ্য কি? বিভিন্ন বয়সের বিপুল সংখ্যক মানুষ মেলায় ঘুরছেন। এখানে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে দেওয়াটা প্রথম থেকেই পুলিশের ভুল হয়েছে।

Previous articleBig Breaking: মৃদু ভূমিকম্পে কাঁপল উত্তরবঙ্গ
Next articleবুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, দিল্লির বাদশা কেজরি-ই