অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল, বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৭৭ রানে শেষ ভারত

ফাইনাল ম্যাচে সেভাবে দাগ কাটতে পারল না ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে একপ্রকার কোণঠাসা হয়েই থাকতে হল ভারতকে। যশস্বীর ৮৮ রানের ইনিংস ছাড়া আর কেউই স্কোরবোর্ডে সেভাবে রান যোগ করতে পারলেন না। অর্ধেকের বেশি ক্রিকেটার পৌঁছতে পারেননি দুই অঙ্কের রানে। ফলে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশকে একটা বড়ো রানের টার্গেট দেওয়ার কথা ভেবেছিল ভারত সেটা আর হল না।

এদিন হট ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ভারতকে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বিপক্ষের সামনে বড় রানের লক্ষ্য টাঙিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল ভারতের সামনে। অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ টস হেরে যাওয়ার পরও বলেছিলেন যে তাঁরা রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু, শুরু থেকেই বাংলাদেশের পেসারদের দাপটের সামনে অসহায় দেখাল ভারতীয়দের।

প্রথম দুই ওভার মেডেন নিয়েছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। প্রথম ছয় ওভারে উঠেছিল ৮ রান। সপ্তম ওভারেই পড়ল প্রথম উইকেট। দিব্যাংশ সাক্সেনা ফিরলেন মাত্র ২ রানে। অভিষেক দাসের বলে ক্যাচ দিলেন তিনি। সেই পরিস্থিতি থেকেই যশস্বী জয়সওয়াল টানলেন দলকে। যশস্বীর পঞ্চাশের পরই আউট হলেন তিলক (৬৫ বলে ৩৮)। মারতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দিলেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে যশস্বী-তিলক যোগ করেছিলেন ৯৪ রান। বেশি ক্ষণ থাকলেন না অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গও (নয় বলে ৭)। ৩১.৩ ওভারে ১১৪ রানে পড়েছিল তৃতীয় উইকেট। যখন মনে হয়েছিল যশস্বীর ব্যাটের দাপটে ঘুরে দাঁড়াবে ভারত, ডেথ ওভারে উঠবে ঝড়, তখনই এল ধাক্কা। পর পর দুই বলে আউট হলেন যশস্বী ও সিদ্ধেশ ভির।

ভারতীয় ইনিংস কখনই গতি পেল না। প্রথম পঞ্চাশ এসেছিল ১৬.১ ওভারে। পরের পঞ্চাশের জন্য লেগেছিল ৭৩ বল। ১০০ থেকে ১৫০ রানে পৌঁছতে লাগল ৬২ বল। দেড়শো পেরিয়ে যাওয়ার পর শরিফুল ইসলামকে শর্ট আর্ম পুল মারতে গিয়ে আউট হলেন যশস্বী। তাঁর ১২১ বলে ৮৮ রানের ইনিংস সাজানো আটটি চার ও একটি ছয়ে। ভারতীয় শিবির চাইছিল, শেষ পর্যন্ত তিনি যেন ক্রিজে থাকেন। কিন্তু তা হল না। শরিফুলের পরের বলেই এলবিডব্লিউ হলেন সিদ্ধেশ (এক বলে ০)। এরপর আর কেও স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে পারেননি। ৪৭.২ ওভারেই মাত্র ১৭৭ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। এখন দেখা যাক ১৭৭ রান করে বাংলাদেশকে কতটা চাপে রাখতে পারে ভারত। ক্রিকেটে সবকিছুই সম্ভব, তারপর আবার ফাইনাল!

Previous articleএপিডিআর-এর ধরণা শেষ হতেই উঠল ‘জয়শ্রীরাম’ স্লোগান
Next articleশিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বন্ধ ট্রেন চলাচল