খেজুরির সৎসঙ্গ উৎসবে শুভেন্দুর যাওয়া নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী

পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে ৫২ তম সৎসঙ্গ উৎসবে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের সেচ, পরিবহণ ও জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পাস হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঘরে বলেন, “বিধানসভা বাজেট অধিবেশন চলার কারণে খেজুরি সৎসঙ্গ উৎসবে যেতে পারছি না। আমি শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ভাবধারায় বিশ্বাস করি। খেজুরিতে সৎসঙ্গ উৎসবে শুভেন্দুকে পাঠাব।”

খেজুরি আশ্রম

নিজের ঘরে বসেই শুভেন্দুবাবুকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্রম কর্তৃপক্ষ শুভেন্দুবাবুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। মন্ত্রী কথা দিয়েছেন, তিনি অবশ্যই যাবেন। তবে উৎসবের দিনেও বিধানসভায় আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা সেচ ও পরিবহণ মন্ত্রীর। সৎসঙ্গ উৎসব চলবে সারাদিন। দ্বিতীয়ার্ধে খেজুরি সৎসঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি শুভেন্দুবাবুর। এবার সৎসঙ্গ উৎসব হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে সৎসঙ্গীরা আসবেন। উৎসব উপলক্ষে আশ্রম প্রাঙ্গণে মেলা বসে। প্রচুর জনসমাগম যে হবে তা বলাই বাহুল্য। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম সৎসঙ্গ আশ্রমকে জমি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন খেজুরি সৎসঙ্গ আশ্রমের প্রতিনিধিকে বসন্তোৎসবের আগাম শুভেচ্ছা জানান। শুভেন্দুবাবু জানিয়েছেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই সৎসঙ্গে অনুরক্ত। শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের নীতিতে তাঁর অগাধ বিশ্বাস বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। খেজুরি সৎসঙ্গ আশ্রম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বছরে তিনবার শ্রীশ্রী ঠাকুরের উৎসব হয়। গত ৫১ বছর ধরে এই প্রথা চলছে। প্রত্যেক বছর ১ ফাল্গুনে বসন্তোৎসবের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। দেশের নানা প্রান্ত থেকে সৎসঙ্গীরা আসেন। আশ্রমে গেস্ট হাউস না থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়। খেজুরি আশ্রমে আগে একটি অবৈতনিক স্কুল ছিল। অর্থাভাবে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্কুলটি ফের চালু করতে চায় কর্তৃপক্ষ।

Previous articleকরোনাভাইরাসে চিনে মৃত্যু ৯০৮ ছাড়াল
Next articleভয়াবহ আগুনে দাউদাউ করে জ্বলছে তালতলা, ঘটনাস্থলে দমকল মন্ত্রী