ওখলায় ঝাড়ুতে সাফ বিজেপি, শাহিনবাগ-জামিয়া মিলিয়ার প্রভাব?

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে এবার সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল শাহিনবাগ ও জামিয়া মিলিয়া বিক্ষোভ। ভোট প্রচারে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষই বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করেছে এই দুই আন্দোলনকে। ওখলা বিধানসভা কেন্দ্রের আওতায় পড়ে শাহিনবাগ ও জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেই কেন্দ্রে ঝাড়ু ঝড়ে উড়ে গেল গেরুয়া। বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আপ প্রার্থী আমানতুল্লা খান৷ যদিও নির্বাচনের ফল নিয়ে শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের মুখে কুলুপ।
প্রথম থেকে শাহিনবাগ আন্দোলনকে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। ভোট প্রচারে গিয়ে আন্দোলনকারীদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি নেতৃত্ব। একইভাবে তাঁদের আক্রমণের নিশানায় ছিলেন জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অনুরাগ ঠাকুরের মতো বিজেপির নেতারা জামিয়ার আন্দোলনকারীদের দেশদ্রোহী, জঙ্গি তকমা দিতেও কসুর করেননি৷ আর তারই বোধহয় প্রভাব পড়ল ইভিএমে। ভোটের দিনই দেখা গিয়েছে সকাল থেকেই শাহিনবাগে বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন। ফল বেরতেই দেখা গেল ওখলাতে হেরে গেল বিজেপি৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মেরুকরণের রাজনীতি করতে গিয়েই এই কেন্দ্রে হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী। কারণ, আপ-র উন্নয়নমূলক কাজ ও ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবমূর্তিই শাহিনবাগ ও জামিয়া মিলিয়ার বিধানসভা কেন্দ্র ওখলাতে ভরা ডুবি গেরুয়া শিবির।