কলকাতার পুলিশের সিঁথি থানায় হেফাজতে মৃত্যু, বিক্ষোভ, ভাঙচুর, উত্তেজনা*

সিঁথি থানার সামনে বিক্ষোভ৷ (ইনসেটে) মৃত রাজকুমার সাউ

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সোমবার রাতে তুমুল উত্তেজনা উত্তর কলকাতার সিঁথি থানা চত্বরে৷ উত্তেজিত জনতা থানায় ঢুকে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা পুলিশের উত্তর ডিভিশনের বিভিন্ন থানা থেকেও অতিরিক্ত বাহিনী পৌঁছয়। থানার সামনের মূল লোহার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

থানার মধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে অভিযুক্তের। পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগে সোমবার সন্ধ্যায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর কলকাতার সিঁথি থানা। উত্তেজিত জনতা থানায় ঢুকে এলোপাথাড়ি ভাঙচুর চালায়। তাঁদের রোষে পড়েন থানার কর্মীরাও।

জানা গিয়েছে, সিঁঁথি থানা এলাকায় একটি বহুতলে কল চুরির ঘটনায় স্থানীয় এক কাগজ-কুড়ানি মহিলাকে জেরা করতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা জেরায় জানায় পাইকপাড়ায় রাজকুমার সাউ নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানে বিক্রি করা হয়েছে। বছর পঞ্চাশের রাজকুমার সাউয়ের পুরনো লোহা কেনা বেচার ব্যবসা। তাঁর ছেলে অজয় সাউয়ের অভিযোগ, “সিঁথি থানার পুলিশ সকাল ১১টায় বাবাকে থানায় নিয়ে যায়৷ বাবা সুগারের রোগী। হৃদযন্ত্রও দুর্বল। রাজকুমার বাবুর সঙ্গে থানায় যান তাঁর ছোট ভাইও। কিছুক্ষণ পর আমি নিজেও থানায় যাই”। অজয়ের অভিযোগ, ‘‘এস এন দাস নামে এক সাব ইন্সপেক্টর প্রথমে বলেন একটা বয়ান রেকর্ড করা হবে বাবার। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ বলে, ১ লাখ ২০ হাজার টাকার চোরাই জিনিস কিনেছেন আমার বাবা। এর খানিক পরই পুলিশ তাঁদের বলে বাবার শরীর খারাপ। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন”।
এর পরই পরিবারের সদস্যরা রাজকুমার বাবুকে নিয়ে যান আরজি কর হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অজয়ের গুরুতর অভিযোগ, থানায় জেরার সময় পুলিশ বাবাকে মারধোর করে। সেই মারের ধাক্কাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে”৷
ওদিকে, সিথিঁ থানায় রাজকুমার বাবুর
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিবারের লোকজন এবং এলাকার বাসিন্দারা চলে আসেন থানার সামনে। তাঁদের সবার অভিযোগ, পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে রাজকুমারের। বিক্ষোভকারীরা হঠাৎ মারমুখী হয়ে থানায় ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বড় পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ডিসি(উত্তর) জয়িতা বসু। থানার সামনের মূল লোহার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিছু পরে পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রনে আসে। পুলিশের তরফে গোটা ঘটনা সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Previous articleগোপন কম্ম কী? জানাতে হল ট্রেলার লঞ্চ
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ