লাগাতার, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিলেন জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ। বৃহস্পতিবার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা করার কথা ছিল ঐশীর। কিন্তু সেই সভার অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। এরপরে, কলেজ স্ট্রিটের বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে সভা করেন তিনি। ঐশীর কথায়, “সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন একদিনে হবে না। ধারাবাহিকভাবে এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের তর্ক বিতর্ক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। চোখে চোখ রেখে আরএসএস-কে বলুন আপনাদের রাজনীতি মানছি না। ধর্মের নামে বাংলাকে ভাগ হতে দিইনি। বিজেপি, আরএএস বাংলাকে ভাগ করতে পারবে না। ক্যাম্পাসে ফি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। লাখ লাখ টাকা যদি নেওয়া হয়, তাহলে যে স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে তা পারবে না ছাত্ররা। তা নিয়েই আন্দোলন চলছিল জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। হামলা হয় আমাদের ওপর”।

তিনি আরও বলেন, আশাদুল্লা খান, “গান্ধীকে আলাদা করতে জানে না ভারতবাসী। আপনাদের কাছে আপিল করতে এসেছি। লড়াইটা সোজা নয়। স্বাধীনতার লড়াই সোজা ছিল না। সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে লড়াই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আরএসএস যা করছে সেটা ওঁদের ৯০ বছরের প্রোজেক্ট। আমাদের রাস্তায় নেমে লড়াই করতে হবে। আইআইটি ফান্ড ৭৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। সরকারি ক্ষেত্র বেঁচে দেওয়া হচ্ছে”। অর্থনীতি, লেখাপড়া, চাকরির নামে কিছু নেই। অমিত শাহের নিজের ছেলে বিসিসিআই-এ বসেছে। আর দেশের ছেলে ঘরে বসে থাকবে সেটা চাইছেন উনি। এদিন, ঐশীর সভা ঘিরে ভিড় জমান অনেকেই।

আরও পড়ুন-উত্তর কলকাতায় বিজেপি’র নতুন সভাপতির নাম নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য অন্দরে
