মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড হাতছাড়া হওয়ার পর যা দেখা যায়নি, তা প্রকাশ্যে আসছে দিল্লি বিধানসভায় ভরাডুবির পর। রাজধানীর এই প্রেস্টিজ ফাইটে আপের কাছে গোহারা হেরেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটে মোদিঝড়ের সৌজন্যে সাতটি লোকসভা আসন জেতার পর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভুগছিলেন বিজেপি নেতারা। আপের বিরুদ্ধে জয় সহজ হবে ধরে নিয়েই দিল্লিবাসীকে বোকা বানাতে উন্নয়নের ইস্যুতে ভুল তথ্য পরিবেশন থেকে শুরু করে একের পর এক ঘৃণা ছড়ানোর মত বিভেদমূলক মন্তব্য করে গিয়েছেন নেতারা, যার ‘শিক্ষা’ বিজেপি পেয়েছে ভোটের ফলেই। বিধানসভা জয়ের স্বপ্ন দেখলেও কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও বিকল্প মুখ তুলে ধরতে না পেরে এখানেও সেই মোদিকে নিয়ে টানাটানি। ফল প্রকাশের পর হতাশ গেরুয়া শিবিরে ফাটলের ইঙ্গিত স্পষ্ট হচ্ছে হারের কারণ নিয়ে উঠে আসা নানা মন্তব্যে। একদিকে স্বপন দাশগুপ্তর মত নেতা যখন বলছেন, ভুল মন্তব্য ও বিকল্প মুখের অভাব হারের বড় কারণ, তখন কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলছেন, আপের ডোল রাজনীতির কাছে হার। তথাকথিত অমিত শাহ ঘনিষ্ঠদের মুখে কুলুপ। দিল্লির সভাপতি মনোজ তিওয়ারি আবার বিশদ পর্যালোচনার অপেক্ষায়। যেহেতু দিল্লি ভোটের লড়াই সবটাই নিজের দায়িত্বে সামলেছেন অমিত শাহ, তাই হার নিয়ে নিশ্চুপ বর্তমান সভাপতি জেপি নাড্ডা। সবমিলিয়ে দিল্লিতে ভরাডুবির ধাক্কায় কিছুটা বেসামাল বিজেপির সাংগঠনিক স্তরের শীর্ষমহল। এরপর বিহার, অসম ও বাংলার ভোটে সঠিক রণকৌশল তৈরির চাপ তাই আরও বেশি।
