প্রার্থী বাছাইয়ে কমিটি, ভবনে জমা পড়ছে আবেদন, পুরভোটে নেমেই পড়লো তৃণমূল

পুরভোট নিয়ে আসরে নামলো তৃণমূল৷ দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই বলে চলেছেন, “ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন আছে, এমন কাউকেই দলের প্রার্থী করা হবে না৷ দলের নির্বাচিত কাউন্সিলরদের মধ্যেও যারা নানা বিতর্কে যুক্ত, তাঁরাও দলের টিকিট পাবেন না৷” নেত্রীর এই কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে, আগামী পুরভোটে দলের প্রার্থী কারা হবেন, সেই বিষয়ে কারো সুপারিশ বা লবি ধরা এবার কার্যত নিষিদ্ধই হতে চলেছে৷

কলকাতা পুরসভার প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে দলের অন্দরে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ পাঁচ সদস্যের এই কমিটি প্রাথী হতে আগ্রহীদের আবেদন এবং যোগ্যতা বিচার করে খসড়া তালিকা তৈরি করে সেই তালিকা তুলে দেবেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের হাতে৷ এই কমিটিতে আছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং শুভেন্দু অধিকারি৷ কলকাতা ছাড়াও অন্য গুরুত্বপূর্ণ পুরসভার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও দায়িত্ব থাকবে এই কমিটিই৷

তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এবার দ্বিমুখী পদ্ধতি কাজ করবে৷ প্রথমটির শীর্ষে অবশ্যই ‘ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট’ প্রশান্ত কিশোর৷ এই ভোট-বিশেষজ্ঞের নিজস্ব সংস্থা ‘আই-প্যাক’ ইতিমধ্যেই কলকাতায় এক দফা সমীক্ষা শেষ করেছে৷ কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ড ঘুরে প্রশান্ত কিশোরের লোকজন তৃণমূলের কাউন্সিলরদের বিগত বছরগুলির পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখেছেন৷ এলাকায় তাঁদের ভাবমূর্তি নিয়ে কথা বলেছেন স্থানীয় নাগরিকদের সঙ্গে৷ সেই সব তথ্য বিশ্লেষন করে একটি খসড়া প্রার্থী তালিকাও তৈরি হয়েছে৷ এই তালিকা পেশ করা হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে৷ জানা গিয়েছে, প্রশান্ত কিশোরের তালিকায় ওয়ার্ডপিছু ৩টি করে নাম থাকছে৷ কেন তাঁদের নাম বিবেচনা করা হলো, তার ব্যাখ্যা থাকছে৷ যদি নির্বাচিত কাউন্সিলরের নাম বিবেচনায় না থাকে, তাহলে কেন তিনি বাদ পড়লেন, তার কারনও সুপ্রিমোকে জানানো হবে৷

এদিকে দলের প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের আবেদনপত্র গ্রহন করার জন্যও তৃণমূল ভবনে আলাদা এক দফতর চালু করা হয়েছে৷ কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় এই দফতরের দায়িত্বে৷ দলের প্রার্থী যারা হতে চান, তারা নিজেদের আবেদনপত্র, দলের সঙ্গে তাঁদের কতদিনের যোগাযোগ ইত্যাদি তথ্য ভবনের দফতরে জমা দিতে হবে৷ জমা পড়া আবেদনপত্র প্রাথমিক বাছাইয়ের পর পাঠানো হবে ৫ সদস্যের কমিটির কাছে৷ কমিটি সে সব খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত খসড়া তালিকা তৈরি করবে৷ সেই তালিকাও যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টেবিলে৷ দলীয় তালিকা এবং পিকে’র তালিকা সামনে ফেলে পুরভোটে দলের প্রার্থীর নামে সিলমোহর লাগাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ই৷

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রিত নন, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনকে লজ্জাজনক বললেন তাপস

Previous articleকেজরিওয়ালের শপথে আমন্ত্রিত ‘মিনি মাফলারম্যান’
Next articleমিথ্যা প্রচার করে এরাজ্যে বিজেপির মোকাবিলা করা যাবে না, সাফ কথা দিলীপের