অবিজেপি কোনও দলের বন্ধুকে আমন্ত্রণ নয়। শপথে ডাক পাননি অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। একমাত্র ব্যতিক্রম নরেন্দ্র মোদি। রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একদা মোদি বিরোধী অবিজেপি জোটে নাম লেখালেও কেজরির বর্তমান এই সিদ্ধান্তের পিছনে সুচিন্তিত রাজনৈতিক ভাবনা স্পষ্ট। নির্দিষ্ট অঙ্কেই অবিজেপি ফ্রন্টের তথাকথিত হেভিওয়েটদের বাদ দিয়ে মোদিকেই আমন্ত্রিত হিসাবে বেছে নিয়েছেন কেজরিওয়াল। কী সেই কারণ?
1) তৃতীয়বারের শপথ অনুষ্ঠানকে সচেতনভাবেই দিল্লিকেন্দ্রিক রাখতে চেয়েছেন কেজরি। দিল্লির মানুষের জন্য কাজ করেই বিপুল জয়, অতএব শপথে দিল্লিবাসীরই অগ্রাধিকার, বার্তা সেটাই।
2) ফল প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রীয় সৌজন্য মেনে কেজরিকে ট্যুইটবার্তায় অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শপথে আমন্ত্রণ জানিয়ে পাল্টা সৌজন্য দেখালেন কেজরিও।
3) দিল্লি পূর্ণ রাজ্য নয়। পুলিস সহ বহুক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে নির্ভর করতে হয় কেন্দ্রের উপর। কাজের ক্ষেত্রে পারস্পরিক নির্ভরতার জায়গাটিকে মসৃণ রাখতে শুরু থেকেই সহযোগিতার বার্তা দিতে চান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
4) সামনে কোনও বড় নির্বাচন নেই। ফলে নিজের শপথ মঞ্চকে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক জোট তৈরির মঞ্চ না বানিয়ে প্রশাসনিক কাজে মন দিতে চান কেজরি।
5) বিধানসভা ভোটে নিরঙ্কুশ জয় পেলেও লোকসভা ভোটে দিল্লির সাত আসনে গোল্লা পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল কেজরির দল। এবারও ভোটের আগে করা সমস্ত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কেজরি প্রথম পছন্দ হলেও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দিল্লির প্রথম পছন্দ মোদিই। শুধু তাই নয়, দেশের জনপ্রিয়তম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবেও দিল্লিবাসীর পছন্দ মোদি। সেক্ষেত্রে ভোট মিটে যাওয়ার পর অবিজেপি বন্ধুদের ডেকে এনে দিল্লিবাসীর কাছে মোদিকে খোঁচা দেওয়ার নজির রাখতে চান না কেজরি।
6) বিজেপি ও কংগ্রেসবিরোধী দল হিসাবে আমআদমি পার্টির একক কৃতিত্ব তুলে ধরাও কেজরির রাজনৈতিক লক্ষ্য।