জীবন প্রত্যেককেই দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়। সেই সুযোগই ঘুরিয়ে দিতে পারে জীবনের মোড়। ঠিক যেমনটা হয়েছে সুভাষ পাতিলের সঙ্গে।
সাল ২০০২। প্রেমিকা পদ্মাবতীর স্বামী অশোক গুট্টেদারকে খুন করেন সুভাষ এবং পদ্মাবতী। খুনের মামলায় ১৪ বছরের জেল হয় দুজনের। তখন ডাক্তারি পড়তেন সুভাষ। সুভাষ জানান, জেলে থাকাকালীন কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার হাসপাতালের ওপিডিতে প্র্যাক্টিস করতেন তিনি। পাশাপাশি কর্ণাটক স্টেট ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর করেন। তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে এমবিবিএস পাশ করেন।
কর্ণাটকের কালাবুয়ার্গি জেলায় থাকাকালীন সুভাষের সঙ্গে পদ্মাবতীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পদ্মাবতীর স্বামী অশোক হুমকি দিতে শুরু করেন তাঁদের। এরপর সুভাষ এবং পদ্মাবতী খুন করেন অশোককে। সে সময়ে এমআর মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন সুভাষ। ২০১৬ সালের স্বাধীনতা দিবসে জেল থেকে মুক্তি পান সুভাষ। রাজীব গান্ধী স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস শেষ করার অনুমতি নেন তিনি। ওই বছরই ফের পড়া শুরু করেন।