শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জনতার ঢল

ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জনতার ঢল নেমেছে।সকাল থেকেই শহিদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে সরকারি বিভিন্ন দফতর থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার আধিকারিক সহ সর্বস্তরের মানুষ ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন করছে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে।

নীলক্ষেত, আজিমপুর কবরস্থান থেকে পলাশি হয়ে মানুষের দীর্ঘ লাইন পড়ে গেছে শহিদ মিনার অভিমুখে। শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তারা বের হচ্ছেন দোয়েল চত্বর ও টিএসসি ক্রসিং দিয়ে। সরকারি বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছেন প্রভাতফেরিতে। অনেকে শোকের প্রতীক কালো ব্যাজ পরে বাড়ি থেকে খালি পায়ে শহিদ মিনারে আসেন ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাতে।

এর আগে রাত ১২টা ১ মিনিটে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় অমর একুশের ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি কালজয়ী গানটি বাজানো হয়। রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেখানে শহিদদের স্মৃতির প্রতি নীরবতা পালন করেন। এরপর শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হয়ে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মেয়র সাঈদ খোকন। এরপর উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের নেতৃত্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নেতারা শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

তারপর শহিদ বেদিতে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী প্রধানরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে মহাপুলিশ পরিদর্শক পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর সর্বসাধারণের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

 

Previous articleবিস্ফোরক মোদির মন্ত্রী, মুসলিমদের নিয়ে এ কী বললেন!
Next articleমাধ্যমিকের জন্য মাইকের অনুমতি নয়, কলকাতায় অমিত শাহের সভা ঘিরে জটিলতা