কলকাতায় শরিকদের একাধিক ওয়ার্ড চায় কংগ্রেস, ছাড়বে না ফব, সিপিআই

দু’দলে রক্তক্ষরণ চলছেই৷ অস্তিত্বের সংকট দু’দিকেই প্রবল! জোট গড়ে ভোটে গেলেও আসন ভাগাভাগিতে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে ইগোর লড়াই৷

জোট গড়েই কং-বাম কলকাতার পুর-নির্বাচনে লড়বে বলে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে দু’দলের তরফে৷ তবে ফের আসনবন্টনে সমস্যার আশঙ্কাই করছে আলিমুদ্দিন৷ কংগ্রেসের দাবি করা একাধিক ওয়ার্ডেই এতদিন প্রার্থী দিয়েছে ফ্রন্ট শরিকরা৷ সেই আসন তারা কেন ছাড়বে, তা নিয়েই সংকট তৈরি হচ্ছে৷ বামেরা চাইছে ভোটের দিন ঘোষনামাত্রই বাম ও কংগ্রেস জোট প্রার্থী ঘোষণা করার৷ কিন্তু এখনও চূড়ান্ত হয়নি বাম ও কংগ্রেস কে কতগুলি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেবে৷

কলকাতা পুরভোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কলকাতার কংগ্রেস নেতারা সিপিএমের কলকাতা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মঙ্গলবার। বৈঠকে ফ্রন্টের শরিকদের ডাকা হয়নি৷
বৈঠকে বামেদের প্রস্তাব,
কলকাতার মোট ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেসকে কমপক্ষে ৬০ ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে হবে৷ কিন্তু কংগ্রেস এতে রাজি নয়৷ কংগ্রেস প্রাথমিক ভাবে ৪৫টি ওয়ার্ডে লড়াইয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। ২০১৫-র পুর-নির্বাচনে কংগ্রেস ৫টি ওয়ার্ডে জিতেছিল। এই ৫জনের মধ্যে ৩ জন দলবদল করেছেন৷ পুরসভায় কংগ্রেসের কাউন্সিলর এখন ২জন, সন্তোষ পাঠক এবং প্রকাশ উপাধ্যায়৷ গত নির্বাচনে ২৫টি আসনে কংগ্রেস ছিলো দ্বিতীয় স্থানে৷ এই ৩০ আসন-সহ কংগ্রেস আরও ১৫টি আসনে লড়াই করতে চাইছে। কংগ্রেসের এই প্রস্তাব নিয়ে বামফ্রন্টের কলকাতা জেলা বৈঠকে বসবে। কংগ্রেসের আশা, কোন ওয়ার্ডে কারা লড়াই করবে তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে জটিলতা ছাড়াই৷

এদিকে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস প্রাথমিক ভাবে যেসব ওয়ার্ডে লড়তে চাইছে, তার মধ্যেই রয়েছে এমন সব ওয়ার্ড, যেখানে গত বেশ কয়েকটি পুরভোটে ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই লড়াই করে চলেছে। শরিকরা এই আসনগুলি কংগ্রেসকে ছাড়তে চাইবে না বলেই সিপিএমের আশঙ্কা।
এদিকে এই বৈঠক শুধু সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে হওয়ায় অসন্তুষ্ট বাম শরিক নেতারা। আরএসপি-র কলকাতা জেলা নেতা তপন মিত্র বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলেছি, কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা বামফ্রন্টগত ভাবে হোক। যদিও তা হল না।” সিপিএম শরিকদের এড়িয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে একা বৈঠক করায় অন্য কৌশল নিচ্ছে সিপিআই৷ ফরওয়ার্ড ব্লকের কলকাতার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “ফরওয়ার্ড ব্লক যে আসনগুলিতে গতবার লড়াই করছে এবারও সেইসব ওয়ার্ডেই লড়বে৷”
এদিনের বৈঠকে ছিলেন সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, তরুন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর নেতারা৷ কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন মায়া ঘোষ, উত্তর কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি অমিত ঘোষ, বড়বাজার জেলা কংগ্রেস সভাপতি মহেশ শর্মা, মধ্য কলকাতার কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত দত্ত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কংগ্রেস নেতা মানব মিত্র।

 
Previous articleমৃতের সংখ্যা ১৭, ট্রাম্পের সফর শেষ হতেই কড়া দিল্লি পুলিশ, মধ্যরাতে হাইকোর্টের জরুরি নির্দেশ
Next articleকেন নিষ্ক্রিয় কেজরিওয়াল? বিক্ষোভ তাঁর বাসভবনকে ঘিরে