টাকার সঙ্গে ফ্ল্যাট চেয়েছিলেন মা-মেয়ে, জেরায় কবুল সাদ্দামের

হলদিয়ার ঝিকুড়খালিতে মা-মেয়ের জ্বলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে নেমে ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে নানা তথ্য। আর তাতেই স্পষ্ট হচ্ছে ব্ল্যাকমেলিং-এ জেরে খুনের দাবি। ঘটনায় অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, দক্ষিণ কলকাতার হাজরায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। সেই ফ্ল্যাটটি নিজের নামে লিখে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিলেন সাদ্দামের প্রেমিকা রিয়ার মা রমা। কিন্তু তা দিতে চাননি সাদ্দাম। এই নিয়ে তুমুল অশান্তি বাধে।
১৮ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিকুড়খালি এলাকায় দু’টি দেহ দাউদাউ করে জ্বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অর্ধদগ্ধ দেহাংশ ও পোশাকের অংশ দেখে পুলিশের অনুমান ছিল, দগ্ধ দু’জনেই মহিলা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নিউ ব্যারাকপুরের নরেশচন্দ্র সরণির বাসিন্দা মা-মেয়ে রমা দে ও রিয়া দে।


নরেশচন্দ্র সরণির বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগে এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেন রমা ও রিয়া। পাড়শিদের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলেও, তাঁদের বাড়িতে বহু পুরুষের আনাগোনা ছিল বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রিয়া ও তাঁর মা সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরুষ বন্ধু জোগাড় করতেন। তারপর একান্ত মুহূর্তের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে মোটা টাকা আদায় করতেন। সাদ্দাম এই ফাঁদেই পড়ে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।
সাদ্দামকে জেরা করেও পুলিশ জানতে পারে, তাঁদের ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল সাইটে ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সাদ্দামের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন মা ও মেয়ে। দাবি করেছিলেন সাদ্দামের হাজরার ফ্ল্যাটটিও। ৪ লক্ষ টাকা দিলেও ফ্ল্যাট দিতে চাননি সাদ্দাম। পরে সাদ্দাম বিয়ে করেছেন শুনে ফের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন রমা ও রিয়া। দাবি না মিটলে ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি সাদ্দামের স্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এরপরেই রিয়া ও রমাকে খুনের পবরিকল্পনা করেন বলে জেরায় জানিয়েছেন সাদ্দাম। এই ঘটনায় আর কে জড়িত তা জানতে তদন্তে চালাচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন-বাড়ি ফিরছে দিব্যাংশু

Previous articleরথের আগেই শেষ হবে মাহেশের মন্দির সংস্কারের কাজ, আশাবাদী ইন্দ্রনীল
Next articleদিল্লিতে হিংসার আগুন, ‘‘পার্ট অফ লাইফ’’ বলে বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি মন্ত্রীর