মধ্যপ্রদেশে সরকার ফেলতে ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র অভিযোগ কংগ্রেসের

ফের রাজনীতিতে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ। এবার স্থান মধ্যপ্রদেশ। মঙ্গলবার, রাত থেকেই নাকি ৮ জন বিধায়ককে ‘আটকে’ রেখেছে বিজেপি। দু’দিন আগে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং অভিযোগ করেন, কংগ্রেস সরকার ফেলতে তৎপর হয়েছে গেরুয়া শিবির। দল ভাঙার জন্য কংগ্রেসের বিধায়কদের ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার টোপ দেওয়া হচ্ছে। আর এই মন্তব্যের কিছু ঘণ্টা পরেই কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, মধ্যপ্রদেশের ৮ জন বিধায়ককে আটকে রাখা হয়েছে গুরুগ্রামের একটি বিলাসবহুল হোটেলে। গুরুগ্রাম হরিয়ানায়। আর সেখানে রয়েছে বিজেপি সরকার। ৪ জন কংগ্রেস ও ৪ জন নির্দল বিধায়ককে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের নির্দেশে মঙ্গলবার মধ্যরাতেই জিতু পাটোয়ারি-সহ মধ্যপ্রদেশ সরকারের দুই মন্ত্রী ওই হোটেলে যান। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের হোটেলে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। যদিও, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। তাদের দাবি, সরকার বাঁচাতে ‘নাটক’ করছে কংগ্রেস।
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় মোট ২৩০টি আসনের মধ্যে ২ জন বিধায়কের মৃত্যু হওয়ায় দুটি আসন শূন্য। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে ১১৫ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ১১৪ জন বিধায়ক। বিজেপির বিধায়ক ১০৭জন। বাকি দু’জন বহুজন সমাজ পার্টি, এক জন সপা এবং চারজন নির্দল বিধায়ক।
অঙ্কের হিসেবে ৮জন বিধায়কের সমর্থন জোগাড় করতে পারলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে কর্নাটকের মতো মধ্যপ্রদেশেও তারা হর্সট্রেডিং-এ নেমেছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। যদিও, সরকার স্থিতিশীল। প্রয়োজনীয় সমর্থন আছে বলে দাবি করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। একই সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, বেশ কয়েকজন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগযোগ করে ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছেন।

আরও পড়ুন-করোনা: সাত দেশের জন্য ট্র্যাভেল অ্যাডভাইসারি জারি কেন্দ্রের

Previous article৫ টাকার নোট থাকলে এখনই লাখ টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে
Next articleদমদম বিমান বন্দরে করোনা আতঙ্ক! পরীক্ষা করেই ছাড়া হচ্ছে যাত্রীদের