আইনত স্ত্রী-র মায়ের সঙ্গেও সম্পর্ক সাদ্দামের, মা-মেয়ে খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

মা-মেয়ের জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে নয়া তথ্য। এতদিন তদন্তকারীরা মনে করছিলেন, ব্ল্যাকমেলিং-এর কারণেই মৃত্যু হয়েছে রমা দে ও তাঁর মেয়ে রিয়ার। মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে জেরা করে এমন তথ্যই মিলেছিল। কিন্তু সম্প্রতি পুলিশের হাতে এসেছে একটি ডায়েরি। সেটি রিয়া দে-র লেখা। আর তাতেই খুনের মোটিভ ঘুরে গিয়েছে ১৮০ডিগ্রি।

হলদিয়ার ভাড়াবাড়ি থেকে ডায়েরি ছাড়াও মিলেছে একটি রেজিস্ট্রি বিয়ের শংসাপত্র। তাতে জানা গিয়েছে, রিয়ার সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছিল সাদ্দামের। হলদিয়ার ভাড়াবাড়ি থেকে রিয়ার লেখা একটি ডায়েরিও উদ্ধার হয়েছে। সেখান থেকে যে তথ্য মিলেছে তাতে ব্ল্যাকমেলের পাশাপাশি ত্রিকোণ সম্পর্কের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। কারণ, নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা মা ও মেয়ের সঙ্গে না কি একই সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল সাদ্দাম।
হলদিয়ার যে ভাড়াবাড়িতে রমা-রিয়া থাকতেন, সেখানে তল্লাশি চালানোর সময় আলমারির পিছনে লুকিয়ে রাখা একটি রেজিস্ট্রি বিয়ের শংসাপত্র পায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। শংসাপত্রটি কেউ ছিঁড়ে ফের জোড়া দিয়েছিলেন।
শংসাপত্র অনুযায়ী, ২০১৮ সালে রিয়ার সঙ্গে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয় সাদ্দামের। শংসাপত্রটি যে, আসল সেটি ম্যারেজ রেজিস্টারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে পুলিশ।
হিন্দি, ইংরেজি ও বাংলায় লেখা ডায়েরি পড়ে তদন্তকারীদের ধারনা, স্যোশাল মিডিয়ায় রিয়ার মা রমার দে-র সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম আলাপ হয় সাদ্দামের। সেই আলাপ ঘনিষ্ঠতায় গড়ায়। রমার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদের পরে মেয়েকে নিয়ে মুম্বই ছেড়ে কলকাতায় চলে আসেন তিনি। সাদ্দামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রেই হলদিয়ায় ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেন রমা। সাদ্দামও সেখানে নিয়মিত যেতেন। কিন্তু লেখাপড়ার জন্য নিউ ব্যারাকপুরে থাকছিলেন রিয়া। মায়ের কাছে হলদিয়ায়তেও যেতেন তিনি। মায়ের বন্ধু হিসাবেই সাদ্দামের সঙ্গে আলাপ তাঁর। পরে রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় সাদ্দামের। আর সেখান থেকেই শুরু হয় সম্পর্কের টানাপড়েন। এইসব কথাই ডায়েরিতে লিখেছেন রিয়া।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় মা-মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা সাদ্দাম স্বীকার করেছে। জেরায় সাদ্দাম অভিযোগ করে, সম্প্রতি রমা অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। রিয়াও অন্য এক যুবকের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন। আবার বিয়ের শংসাপত্র দেখিয়ে টাকা দাবি করতে থাকেন মা-মেয়ে। সেখান থেকেই এই চরম পরিণতি বলে দাবি সাদ্দামের।

Previous articleপাখির চোখ পুরসভা নির্বাচন, দিল্লিতে মোদির মুখোমুখি দিলীপ
Next articleরঞ্জি ফাইনালে পুজারাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন ঋদ্ধিমান