আইসোলেশন ওয়ার্ডের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন চিনের মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা

চিনে একপ্রকার মহামারির আকার ধারণ করেছে নভেল করোনাভাইরাস। ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। হাসপাতালে থিক থিক করছে আক্রান্তদের ভিড়। করোনা সংক্রমণে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন হাজার। আক্রান্ত প্রায় এক লক্ষ। বিশ্বের অন্তত ৯০টি দেশে পৌঁছে গিয়েছে কোভিড-১৯। এমনই এক সময় চিনের হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা জানালেন তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। যা শুনলে আপনারও চোখে জল আসবে।

সাংঘাইয়ের জিয়াং জিনজিং জানিয়েছেন “হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টাই কাজ। খাবার দেওয়া হচ্ছে না, সংক্রমণের ভয়ে বাথরুমেও যেতে দেওয়া হয়নি,”। “বার্থ কন্ট্রোল পিল খাইয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যাঁদের পিরিয়ড শুরু হয়ে গিয়েছিল তাঁদের স্যানিটরি ন্যাপকিনও দেওয়া হয়নি,” ন্যাপকিন বদলাবার অনুমতিও ছিল না, ভয়ঙ্কর অভিযোগ আরও এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর। তিনি জানিয়েছেন, জোর করে পিল খাইয়ে হাসপাতাল-নার্সিংহোমের বেশিরভাগ মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের ঋতুস্রাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকার সময় বাথরুমে যেতে দেওয়া হত না। এমনকী ওয়ার্ডের বাইরেও যেতে দেওয়া হত না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা খাবার ও জল না খেয়ে কাজ করতে হত। সেখানে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এবং অনেকেরই শারীরিক সমস্যা শুরু হয়ে গিয়েছিল।
সাংঘাই ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ৭৯ জন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ২০০ বোতল বার্থ কন্ট্রোল পিল পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। সেগুলো খেতে বাধ্য করা হয়েছিল মহিলা ডাক্তার ও মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের।

আরও পড়ুন-বাংলাদেশেও করোনার থাবা!

Previous articleবাংলাদেশেও করোনার থাবা!
Next article‘ভাতের হাড়িতে ভাত’ চেয়ে পথে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস