ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রাণা কাপুরকে রবিবার সকালে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়েছে ইডি। আর এদিনই সন্ধ্যায় লন্ডন যাওয়ার বিমান ধরতে মুম্বই বিমানবন্দরে রাণার মেয়ে রোশনি পৌঁছতেই তাঁকে আটকানো হল। বহু কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর রোশনি কাপুর বিদেশে পালাচ্ছিলেন বলে সন্দেহ। কিন্তু রানা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিমানবন্দরগুলিতে লুকআউট নোটিস জারি থাকায় পালাতে পারেননি রোশনি। ফলে এবার অন্তত বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসি বা নীরব মোদিদের পুনরাবৃত্তি হয়নি। ইডির অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থাকে ইয়েস ব্যাঙ্কের ঋণ দেওয়ার পর সেই সংস্থাগুলি কোটি কোটি টাকা কিকব্যাক দিত রানার স্ত্রী বিন্দু ও তিন কন্যা রাখী, রোশনি ও রাধার মালিকানাধীন কোম্পানিতে। এভাবেই ঘুরপথে ইয়েস ব্যাঙ্কের টাকাই ঢুকত ব্যাঙ্ক কর্তার ব্যক্তিগত তহবিলে।

এদিকে ইয়েস ব্যাঙ্কের আর্থিক কেলেঙ্কারি ও বিদেশে বেআইনি টাকা পাচারের অভিযোগে ব্যাঙ্কের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সিইও রাণা কাপুরকে তিনদিনের ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে মুম্বইয়ের আদালত। ১১ মার্চ পর্যন্ত তাঁকে হেফাজতে পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। গ্রেফতারের পর রবিবারই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। ইডির অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না কাপুর। ইডি বলে, রাণা কাপুর এবং ডিএইচএফএল অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে যুক্ত। ৬০০ কোটির বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। রাণা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ব্যাঙ্ক ঋণের বিনিময়ে বিশাল অঙ্কের কিকব্যাক নিয়েছেন।

