ব্রিটেনে দোষী সাব্যস্ত দুবাইয়ের শাসক মহম্মদ বিন রশিদ

ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, হলো না শেষরক্ষা। দুবাইয়ের শাসক শেখ মহম্মদ বিন রশিদ অল মাকতুমের কীর্তিকলাপ সামনে চলে এলো। গত বৃহস্পতিবার লন্ডন হাইকোর্ট প্রকাশ করে দিয়েছে তাঁর কীর্তি।

শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। নিজের দুই মেয়েকে অপহরণ, তাঁদের দুবাইয়ে ফিরতে বাধ্য করা, স্ত্রীকে ভয় দেখানো। শেখের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিন্ত অল হুসেন। বিচারপতি রায় দিয়েছেন প্রিন্সেসের পক্ষে। আদালত জানিয়েছে, শেখের মেয়ে শেইখা শামসা ২০০০ সালে ব্রিটেনের সারে অঞ্চলে নিজের বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। শেখের এজেন্টরা কেম্ব্রিজশায়ার থেকে তাঁকে অপহরণ করে দুবাইয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়। অন্যদিকে শেখের আরেক মেয়ের নাম শেইখা লতিফা। তিনি ২০০২ ও ২০১৮ সালে বাবার আশ্রয় থেকে পালাতে চেষ্টা করেন। প্রথমবার পালানোর চেষ্টার পরে বাবা তাঁকে তিন বছর বন্দি করে রাখেন। দ্বিতীয়বার পালানোর পর ভারতের উপকূলের কাছে সমুদ্র থেকে ধরা পড়েন। ফের তাঁকে দুবাইয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।

৪৫ বছরের প্রিন্সেস হায়া শেখের তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী। শামসা ও লতিফা কিন্তু প্রিন্সেস হায়ার মেয়ে নন। ২০০৪ সালে শেখের সঙ্গে হায়ার বিয়ে হয়। ২০১৯ সালে তিনি হায়াও ব্রিটেনে পালিয়ে যান। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই শিশুসন্তান। অভিযোগ, শেখের এজেন্টরা তাঁকে নিয়মিত হুমকি দিতে থাকে। আদালত জানিয়েছে, মিডিয়ার সঙ্গে শেখের সুসম্পর্ক ছিল। তিনি হায়ার নামে অনেক মিথ্যা কথা ছাপিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন-আইসক্রিম চেটে খাওয়ায় জেলে যুবক! কেন?

Previous articleমাত্র ৯৯ রানেই শেষ ভারতের ইনিংস, বিশ্বকাপ ঘরে তুলল অস্ট্রেলিয়া
Next articleদক্ষিণ কাঁথির ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির দায়িত্বে অখিল গিরির পুত্র, জেলাজুড়ে জল্পনা