দক্ষিণ কাঁথির ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির দায়িত্বে অখিল গিরির পুত্র, জেলাজুড়ে জল্পনা

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলে বড় চমক৷ তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তের পিছনের কারন খুঁজতে পল্লবিত হচ্ছে হাজারো জল্পনা৷

পুরভোটের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। কর্মসূচির নাম ‘বাংলার গর্ব মমতা’৷ দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অথচ দক্ষিণ কাঁথিতে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির দায়িত্ব পেলেন সুপ্রকাশ গিরি। শাসক দলের জেলা রাজনীতিতে অধিকারি-পরিবারের বিরোধী বলে পরিচিত বিধায়ক অখিল গিরির ছেলে এই সুপ্রকাশ। শুধুমাত্র এ কারনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জেলা তথা রাজ্যস্তরেও জল্পনা শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সুপ্রকাশ গিরি বলেছেন, ‘‘আমি নিজে তো আর এই কর্মসূচির দায়িত্ব নিতে পারি না৷ বিধায়কের বদলে আমাকে এই দায়িত্ব পালনের জন্য রাজ্য নেতৃত্বই বলেছেন।’’

তৃণমূল সূত্রে খবর, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে উত্তর দমদম বিধানসভা এলাকায় দলের পক্ষে জনসংযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন৷ ২০১৬-র ভোটে চন্দ্রিমা পরাজিত হয়েছিলেন৷ পরে দক্ষিণ কাঁথির উপনির্বাচনে জয়ী হন তিনি৷ শাসক দল সূত্রে খবর, চন্দ্রিমার পরিবর্তে সেই কারনেই অন্য কাউকে দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় নয়া কর্মসূচির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রকাশের বাবা, বিধায়ক অখিল গিরি’র বক্তব্য, ‘‘আমার ছেলে হলেও সুপ্রকাশ জেলা যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি। তাই দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন।’’ চন্দ্রিমার বক্তব্য, ‘‘বিধানসভা পিছু একজন করে বিধায়কের জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা। উত্তর দমদম এলাকায় আমি থাকছি। দলীয় নেতৃত্ব দক্ষিণ কাঁথিতে সুপ্রকাশকে দায়িত্ব দিয়েছেন।’’ আজ রবিবার কাঁথি শহরে সুপ্রকাশের ওই কর্মসূচি চলছে ।

এই ঘটনায় একাধিক জল্পনা তুঙ্গে৷ প্রথম জল্পনা, কাঁথির কর্মসূচি থেকে অধিকারীদের দূরে থাকা এবং দ্বিতীয় জল্পনা, অখিল গিরির ছেলেকে দায়িত্ব দেওয়া৷ তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “মাঠ ফাঁকা রয়েছে। যে কেউ যা খুশি করতে পারেন।’’

আরও পড়ুন-রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা কার্যত মিলিয়ে দিল ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’! দেখে নিন

Previous articleব্রিটেনে দোষী সাব্যস্ত দুবাইয়ের শাসক মহম্মদ বিন রশিদ
Next articleএবার কি বৃষ্টির জেরে মাটি হচ্ছে দোল?