নারী শক্তি পুরস্কার : বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলেন কৌশিকী

আজ à§® মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ভবনে ‘নারী শক্তি পুরস্কার’ সম্মানে একাধিক মহিলাদের নাম ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এর মধ্যে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলেন সঙ্গীত শিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তী দেশিকান।

কারা পেলেন এই পুরস্কার, রইল তালিকা…

মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের সওয়ার হয়েছিলেন মোহনা জিতারওয়াল, অবনী চতুর্বেদী এবং ভাবনা কান্থ। এই তিনজনকেই এদিন ‘নারী শক্তি পুরস্কার’ দেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। এই পুরস্কার পাওয়ার পর তাঁরা বলেন, ‘দেশের সেবা করতে আমরা অনেকদিন অপেক্ষা করেছি, এখনও অনেক কিছু করা বাকি’।

‘চণ্ডীগড় এর মিরাকেল’ অর্থাৎ ১০৪ বছরের মান কৌর অ্যাথলেটিক্সে অসম্ভবকে সম্ভব করে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে তিনি এই পুরস্কার পান।

তেলেঙ্গানার পদালা ভূদেবী, আদিবাসী মহিলা বিধবাদের এগিয়ে নিয়ে তাঁদের জন্য কাজ করার সুবাদে ‘নারী শক্তি পুরস্কার’ সম্মানে ভূষিত হন তিনি। এছাড়াও দেশে অটোমোবাইল প্রযুক্তির উন্নতিকরণের পিছনেও অগ্রণী ভূমিকা নেন তিনি। এই কাজ করার জন্য এই সম্মান দেওয়া হয় রশ্মি ঊর্ধ্ববরদের্শীকে।

জম্মু-কাশ্মীরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার ক্রমাগত প্রচেষ্টাকে চিহ্নিত করে ‘নারী শক্তি পুরস্কার’ দেওয়া হয় শ্রীনগরের আফরা জানকে। এই পুরস্কার পেয়ে খুশি আফরা । তিনি জানান, ‘আমার স্বামী এবং বাবার সমর্থনে রক্ষণশীল সমাজের মনস্তত্ত্বের বিরুদ্ধে লড়ে আজ এই জায়গায় আসতে সক্ষম হয়েছি’।

কেরলের ৯৭ বছর বয়সী কারথিয়ানি আম্মা, আরএকজন ১০৫ বছর বয়সী ভাগীরথী আম্মার হাতেও এই বিশেষ সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। নারী শক্তির ক্ষমতায়নের জন্য তাঁদের অবদান এবং বয়সের বাঁধ ভেঙে শিক্ষার প্রসারের জন্য তাঁদের সম্মান জানানো হয়।

ঝাড়খণ্ডের ছামি মুর্মুররের হাতেও এই সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। যদিও ছামি মুর্মুররকে সবাই ‘লেডি টারজান’ হিসেবেই চেনেন। তিনি একজন পরিবেশবিদ। বনদফতরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রায় ২৫ লক্ষের বেশি গাছ তিনি পুঁতেছেন। এছাড়াও এদিন নারী শক্তি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় লাদাখের নিলজা ওয়াংমো এবং বিহারের বীনা দেবীর হাতে।