চাপের মুখে এবার সিন্ধিয়াকে রাজ্যসভার টিকিট দিতে রাজি কংগ্রেস

লোকসভা ভোটে নিজের সংসদীয় আসনে হারের পর থেকেই মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি চেয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হতে। কিন্তু তাতে রাজি নয় হাইকম্যান্ড। কংগ্রেসের অন্দরে সিন্ধিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথই প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সভাপতি হতে না পেরে সিন্ধিয়া চেয়েছিলেন রাজ্যসভার আসন। মধ্যপ্রদেশে তিনটি রাজ্যসভার আসন খালি হচ্ছে। এর একটিতে কংগ্রেস ও অন্যটিতে বিজেপির জয় নিশ্চিত। তৃতীয় আসনটি অনিশ্চিত। কংগ্রেস প্রথমে সিন্ধিয়াকে নিশ্চিত আসনটিতে টিকিট দিতে রাজি ছিল না। কৌশলে প্রিয়াঙ্কা ভদরাকে মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় পাঠানোর দাবি তুলতে থাকেন কমল-ঘনিষ্ঠরা। আবার রাজ্যের আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনিও ফের টিকিটের প্রত্যাশী। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারকে প্রবল চাপে ফেলে সিন্ধিয়া-ঘনিষ্ঠ ছজন মন্ত্রী সহ সতেরো জন বিধায়ক বেঙ্গালুরুতে বসে রয়েছেন। বেগতিক দেখে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে ফিলার পাঠাচ্ছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। বলা হচ্ছে,রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নিশ্চিত আসনে প্রথম পছন্দের ভোট দিয়ে তাঁকেই পাঠানো হবে রাজ্যসভায়। এখন দেখার, এতে নাটকের যবনিকাপাত হয় কিনা।

Previous articleকল্যাণীতে চড়া দর সবুজ-মেরুণ আবিরের
Next articleমধ্যপ্রদেশ সংকট: ভোপালে আজ বিজেপির জরুরি বৈঠক