মূল লড়াই ছিল ১৫ নভেম্বর, রবিবার মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি ম্যাচ হবে কি না? শুক্রবার নবান্নে ক্রীড়া সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোহনবাগান চেয়েছিল ম্যাচ হোক, ইস্টবেঙ্গলের দাবি ছিল, পিছিয়ে যাক ডার্বি। বাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস নিজেই ছিলেন বৈঠকে। বৈঠকে সৃঞ্জয় নিজের অকাট্য যুক্তি দিয়ে পেশ করেন। তাঁর স্পষ্ট কথা, মোহনবাগান তো চ্যাম্পিয়ান হয়েই গিয়েছে। বাকি খেলা নিয়মরক্ষার। রাজ্য তো ট্রফি দিয়েই দিয়েছে। এআইএফএফ কেন তাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দিচ্ছে না! সমস্যা তো তাহলেই মিটে যায়। সৃঞ্জয় এই যুক্তি পেশ করতে গিয়ে আবেগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তর্ক করতেও ছাড়েননি। যুক্তি পাল্টা যুক্তি যখন চলছে, তখনও ওয়ান ডে ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা ক্ষোভের সুরেই বৈঠকে বলেন, সৌরভরা কেন আমাদের সঙ্গে কথা না বলে সিদ্ধান্ত নিল! ক্রিকেট ম্যাচে তো স্থানীয় প্রাশাসনের হান্ড্রেড পারশেন্ট ইনভলভমেন্ট আছে। যদিও ম্যাচ বাতিলের খবর আসার পরে সহাস্য মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, দেখো বেকার তোমরা কত কথা বলছিলে।
পাশাপাশি এআইএফএফ সহ সভাপতি জানান, দুই দল রাজি থাকলে মার্চে যে দুটি ম্যাচ আছে, তা বাতিল করা যেতেই পারে। সিদ্ধান্ত জানতে এআইএফএফ সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেলকে ফোনও করেন সহ সভাপতি সুব্রত দত্ত। কিন্তু সংসদে ব্যস্ত থাকায় তাঁকে পাওয়া যায়নি। সুবতর কথায়, সমস্যা হলো, সকালেই ট্যুইট করে সভাপতি সব খেলা দর্শকশূন্য মাঠে করার কথা বলেছিলেন। তারপর আর কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। ফলে সরকারিভাবে তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তবে ম্যাচ পিছনোর বিষয়টি তাঁরা বেসরকারিভাবে সমর্থন করেন। তবে আজ নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে উচ্ছ্বসিত ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। তাঁর বক্তব্য, অসাধারণ সিদ্ধান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্ত সকলের মেনে চলা উচিত। আর ইস্টবেঙ্গল সমর্থরাও এই সিদ্ধান্তই চাইছিলেন। ফলে সমর্থকরাও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। বৈঠকে টেনিস সহ বেশ কয়েকটি খেলাও বাতিল হয়েছে।
ঠিক হয়েছে মাসের শেষে ৩০ অথবা ৩১ মার্চ ফের রিভিউ বৈঠক হবে সরকারের নেতৃত্বে। পরিস্থিতি বিচার করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।