করোনা আতঙ্ক: তাজমহল, লালকেল্লা, কুতুব মিনারের মতো সৌধও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ASI-এর

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাস বাহিত রোগকে বিশ্বব্যাপী মহামারির আখ্যা দিয়েছে।আমাদের দেশেও দ্রুতহারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এর আগে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সিনেমা হল, পার্ক, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।অধিকাংশ অফিস কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন দেশের সমস্ত স্মৃতিসৌধ ও ঐতিহাসিক স্থান। এগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ।
ASI-এর আওতায় আছে তাজমহল, লালকেল্লা, কুতুব মিনারের মতো সৌধও। এছাড়া ইউনেসকোর হেরিটেজ সাইট অজন্তা, ইলোরা, হাম্পির মতো স্থানগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এমনকি, দেশের ২০০টি জাদুঘর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ। ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের প্রায় ৩ হাজার সৌধ ও পুরাতাত্ত্বিক স্থানগুলি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন পর্যটন ও সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ ছিল তাজমহল। ওড়িশা, কর্ণাটক ও কেরলের একাধিক সৌধও একাধিকবার বন্ধ করেছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। যদিও করোনা সংক্রমণ এড়াতে সোমবারই মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যের সমস্ত দর্শনীয় স্থান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বৃহস্পতিবার থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত অজন্তা-ইলোরা-সহ গুহাগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ঔরঙ্গাবাদের বিবি-কা-মকবারা ও দেবগিরির দুর্গ। মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে ১৯ মার্চ থেকে ঔরঙ্গাবাদের সমস্ত স্মৃতি সৌধ বন্ধের ঘোষণা করা হয়। করোনার জেরে ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে প্রবেশ।সোমবারই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেন নিশ্চিত করেন যে সমস্ত ধর্মীয়স্থান বন্ধ করে দেওয়ার।

Previous articleএখনও শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে পিকের, ঈশ্বরে ভরসা রাখছেন প্রসূন
Next articleকেন রাজ্যসভায় যাওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ- কী বললেন গগৈ?