বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে ২০০ টাকা মূল্যের নতুন নোট প্রকাশ করল হাসিনা সরকার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক মঙ্গলবার দেশে এই প্রথম বাজারে ২০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট ছেড়েছে।
এই বিষয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, বাজারে প্রচলিত ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার মতোই ২০০ টাকার নোট ছাড়া হবে। আগামী মাসে স্মারক ও প্রচলিত দু’ধরনের ২০০ টাকার নোট প্রকাশ করা হবে। তবে ২০২১ সাল থেকে শুধুমাত্র নিয়মিত নোট থাকবে।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ১০০ টাকা মূল্যমানের সোনা ও রুপোর স্মারক মুদ্রাও প্রকাশ করছে হাসিনা সরকার।
২০০ টাকার নোটের ওপর ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ নোট’ কথাটি লেখা রয়েছে। তবে ২০২১ সাল থেকে যে নোটগুলো ছাড়া হবে তাতে আর তা লেখা থাকবে না।
১০০ টাকা মূল্যমানের ১ হাজার ৫০টি স্বর্ণ মুদ্রা এবং একই মূল্যমানের ৫ হাজার রৌপ্য মুদ্রা ছাড়ার ঘোষণাও করা হয়েছিল। বর্তমানে দেশে ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নিয়মিত নোট চালু রয়েছে। প্রথমবারের মতো ২০০ টাকার নোট চালু হলো।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
আজ ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হলো। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ২০২১ সাল পর্যন্ত বছরব্যাপী থাকবে নানা আয়োজন।
একটি অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন রকমের সঞ্চয়পত্র অটোমেশনে চলে গেছে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই সঞ্চয়পত্র প্রকল্পটি যাদের জন্য করা হয়েছে তারা যেন উপকৃত হন।ডাক ডিপোজিট ও ডিমান্ড ডিপোজিট অটোমেশনে যাব, ১৭ মার্চ সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে শুরু করতে পারব পূর্ণমাত্রায়।
গ্রামীণ জনগণের সুবিধার জন্য ডাকঘরকে আধুনিক করা হবে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাইলে পোস্টাল বিভাগ আমরা বাতিল করতে পারব না। সবার হাত ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি আবার দাঁড়াবে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডাক বিভাগের মানব সম্পদের মধ্যে ৪৩ হাজার কর্মী রয়েছেন।প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ করে তৈরি করা হবে। ডাক বিভাগের তৃণমূল পর্যন্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানের নেই। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নিয়ে ডাকবিভাগ থাকতে চায়।

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উড়িয়ে খোলা রাজ্যের পলিটেকনিক ও আইটিআইগুলি
Next articleEXCLUSIVE:কেমন আছেন পি কে? জানালেন ডাঃ কুণাল সরকার