রাজ্যে করোনা- মোকাবিলায় প্রশাসনের পাশে সিপিএম, কংগ্রেস

করোনাভাইরাস রাজ্যে যাতে ধ্বংসলীলা চালাতে না পারে সেই লক্ষ্যে সচেতনতা তৈরি ও সরকারের সঙ্গে সামগ্রিক সহযোগিতার ডাক দিয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। করোনা-যুদ্ধে সরকারের সঙ্গেই থাকবে এই দুই দল৷

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেছেন, ‘‘করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কর্মসূচির সঙ্গে সহযোগিতা করবে কংগ্রেস৷ সঙ্ঘবদ্ধভাবে প্রতিকারের চেষ্টা করতে হবে। যেখানে যেখানে সম্ভব স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে কর্মীরা সচেতনতার প্রচার করুন, সামর্থ অনুযায়ী মানুষের কাছে জীবাণুনাশক সামগ্রী পৌঁছে দিন।”

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, ‘‘আমরা সরকারের কাজে সহায়তা করব। সরকারের যে সব ব্যবস্থাপনা আছে, আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে তার সঙ্গে সহযোগিতা করব। তবে সরকারেরও উচিত প্রতিদিন তথ্যপ্রকাশ করে মানুষকে অবহিত রাখা। মানুষকে সুস্থ রাখাই এখন জরুরি কাজ। মানুষকে সচেতন করতে হবে। শুধু সরকারের ব্যাপার নয় এটা। মানুষের সহযোগিতা ছাড়া কারও শক্তি নেই এই বিপদ প্রতিহত করার।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর বার্তা, ‘‘সতর্ক হয়ে প্রতিরোধ করুন, অযথা আতঙ্কিত হবেন না।’’ খেটে খাওয়া, সঙ্গতিহীন মানুষকে সচেতন করা এবং চিকিৎসা পেতে সহযোগিতার কথাও তিনি বলেছেন। রাজ্যের কাছে দু’দলেরই দাবি, করোনা নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকা হোক।

বিরোধীদের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে শাসক দল তৃণমূল। ওদিকে, তৃণমূলের পদযাত্রার কর্মসূচি ছিল ২০ মার্চ থেকে৷ করোনা- পরিস্থিতিতে তা আপাতত ১৫ দিন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকসির ,
বক্তব্য, ‘‘এখন একটা আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সব কিছু বিবেচনা করে দিনক্ষণ ঠিক হবে।’’

রাজ্য বিজেপিও আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত জনসংযোগ কর্মসূচি বন্ধ রাখছে। কিন্তু নেতারা দলীয় কার্যালয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন জেলার দফতরে গিয়ে বৈঠক বন্ধ রাখছেন না। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর যুক্তি, ‘‘রাজ্যের সব সরকারি দফতর, দোকান, বাজার খোলা। তা হলে দলের কার্যালয়ে আমাদের কাজ বন্ধ করব কেন? আমরা সতর্ক আছি। কিন্তু আতঙ্কিত নই।’’

আরও পড়ুন-স্টেজ থ্রি’ সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিলে রাজ্যে প্রয়োজনে ‘Local Lockdown’

Previous articleস্টেজ থ্রি’ সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিলে রাজ্যে প্রয়োজনে ‘Local Lockdown’
Next articleকরোনা সতর্কতায় স্থগিত আইসিএসসি-আইএসসি