দেশাইয়ের মুত্র থেরাপি কিংবা গোমুত্র থেরাপি, কোনোটাতেই মান্যতা দেয়নি বিজ্ঞান

দ্বন্দ্ব ছিল দ্বৈত সদস্য পদ বৈধ কি না? মূলত জনতা পার্টির সদস্যরা একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্যপদ নিতে পারে কি না? আর এই বিরোধেই পতন ঘটল ভারতের প্রথম অকংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী মোরাজি দেশাইয়ের সরকারের।মোরাজি দেশাইয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সখ্যতা ছিল সর্বজনবিদিত।বর্তমানে করোনা রুখতে মুত্র উপকারিতা কনসেপ্ট হয়তো এসেছে সেখান থেকেই।
দেশের প্রথম অকংগ্রেসী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মোরারজি দেশাই ৷ তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি উপ প্রধানমন্ত্রী , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ মোরারজি দেশাইয়ের দীর্ঘ জীবনের একটা আলোড়িত দিক হল তাঁর ‘ইউরিন থেরাপি। শুধু তাই নয় তিনি অন্যদের সুস্থ থাকার উপায় হিসেবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করার জন্য পরামর্শ দিতেন৷
যদিও বিজ্ঞান বলে ঝুঁকি নিয়ে সামান্য পরিমাণ নিজ মূত্র পান করলে বিশেষ কোনও ক্ষতি হয় না৷ কিন্তু সেক্ষেত্রে একটা বড় ঝুঁকি থেকে যায় কারণ তাতে ব্যকটেরিয়াজনিত দূষণ থাকে। বেশি পরিমাণে এই বর্জ্য পান করলে কিডনি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ স্বমুত্র যদি এত ক্ষতিকর হয়, তাহলে গোমুত্র উপকারী হয় কীভাবে?

Previous articleআমাদের মতো চচ্চড়ির মশলা দিয়েই বিরিয়ানি করেছেন প্রদীপদা, শ্রদ্ধা জানালেন মানস ভট্টাচার্য
Next articleকরোনা সতর্কতায় তৎপরতা বিকাশ ভবনে