আজ ভোরে ফাঁসি হচ্ছেই। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা আগে ফের নতুন নাটকের পর্ব তৈরি হল দিল্লির আদালতে।
ফাঁসির কয়েক ঘণ্টা আগে নতুন করে সাজা রদের আর্জি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের চার দোষী। মাঝরাতেই সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে পৌঁছলেন নির্ভয়া দোষীদের আইনজীবী এপি সিং।
নির্ভয়া অপরাধীদের ফাঁসির আগে টানটান উত্তেজনা, মধ্যরাতে আদালতে নাটক।
রাত ০৩টে ৩৯ মিনিটে – রাষ্ট্রপতির ক্ষমাভিক্ষার আর্জি খারিজ করার বিরুদ্ধে পবনের চ্যালেঞ্জকে মান্যতা দিল না সুপ্রিম কোর্ট। ঘোষণা করল, আর দু’ঘণ্টা পরে, ঠিক সাড়ে পাঁচটাতেই ফাঁসি হবে।
রাত ০৩ টে ৪৯ মিনিটে অপরাধীদের আইনজীবী আদালতে আবেদন জানালেন, ফাঁসির আগে যেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ৫-১০ মিনিটের জন্য দেখা করার অনুমতি পায় অপরাধীরা।
রাত ০৩ টে ৫৩ মিনিটে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়ে দিলেন, অনুমতি মিলবে না পরিবারের সঙ্গে দেখা করার। তেমনটা আইনত করা যায় না।
রাত ০৩ টে ৫৫ মিনিটে লক করে দেওয়া হল তিহাড় জেল। শুরু হল ফাঁসির প্রস্তুতি।
ভোর ০৪ টে – ঘুম থেকে তোলা হল অপরাধীদের। নিয়ে যাওয়া হল স্নান করানোর জন্য। এখন শুধুমাত্র শুরু হয়ে গিয়েছে ফাঁসির কাউন্টডাউন।
২০১২সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসে এক ২৩ বছরের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অপরাধে অক্ষয় ঠাকুর (৩১), পবন গুপ্তা (২৫), বিনয় শর্মা (২৬) এবং মুকেশ সিং (৩২)-এর ফাঁসির সাজা ঘোষণা হয়েছে। এর আগে তিন বার মৃত্যু পরোয়ানা জারি হলেও আইনি জটিলতায় তা কার্যকর হয়নি।বৃহস্পতিবার পাবলিক প্রসিকিউটর ইরফান অহমেদ জানান, কোনও রকমের আইনি আবেদন মুলতুবি নেই। পবন এবং অক্ষয়ের দ্বিতীয় প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, আর কোনো বিকল্প আইনি পথ খোলা নেই দোষীদের জন্য। আমার বন্ধু (অপরাধীদের আইনজীবী) এর পরেও একশোটি আবেদন করতে পারেন। কিন্তু তাতে কোনও আইনি সহায়তা মিলবে না।
